|
|
|
|
মায়ার ভোটেই বাজিমাত কেন্দ্রের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
অবশেষে সরকারকে বাঁচালেন মায়াবতী!
লোকসভায় ভোটাভুটিতে জিতলেও রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ নিয়ে সঙ্কট ছিল সরকারের। কিন্তু দলিত নেত্রীর দৌলতে রাজ্যসভায় শুধু যে উপস্থিত সদস্যের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে সরকার সফল হল তাই নয়, রাজ্যসভার মোট শক্তির নিরিখেও গরিষ্ঠতা প্রমাণ করে দেখাল কেন্দ্রে শাসক জোট। খুচরো ব্যবসায় বিদেশি লগ্নি নিয়ে ভোটাভুটিতে সরকার পেল ১২৩টি ভোট। আর বিরোধীরা ভোট পেলেন ১০২টি। ভোটের এই অঙ্ক থেকেই পরিষ্কার, এখন যা রাজ্যসভার সদস্য সংখ্যা, সেই ২৪৪-এর নিরিখে ম্যাজিক ফিগার ছুঁয়ে ফেলেছে সরকার। যা লোকসভার ক্ষেত্রেও সম্ভব হয়নি।
কিন্তু পরিবর্তে কী পেলেন মায়াবতী, আর কীইবা পেল কংগ্রেস?
বিএসপি নেতারা বলছেন, এফডিআই ভোটাভুটিতে সরকারকে সমর্থন জানিয়ে মোক্ষম চাল দিয়েছেন মায়াবতী। প্রথমত, সরকারের সঙ্গে দর কষাকষি করে সরকারি চাকরিতে পদোন্নতির ক্ষেত্রে সংরক্ষণ ব্যবস্থা চালু করার জন্য সংবিধান সংশোধনী বিল চলতি অধিবেশনেই পেশ ও পাশ করানোর ব্যাপারে আশ্বাস আদায় করে নিয়েছেন মায়া। সংসদে সেই বিল এলে তা লোকসভা ভোটের আগে উত্তরপ্রদেশে তা প্রচার করে নিজের দলিত ভোট ব্যাঙ্ককে বার্তা দিতে পারবেন তিনি। উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা ভোটে বির্পয়ের পর সে দিক থেকে এই প্রথম কোনও প্রাপ্তি হল তাঁর। শুধু তাই নয়, এফডিআই বিতর্কের সুযোগে কাল মায়াবতী যে ভাবে সাম্প্রদায়িকতার প্রশ্নে বিজেপি-কে আক্রমণ করেছেন, তাতে মুলায়মকেও পিছনে ফেলেছেন তিনি।
অন্য দিকে, প্রাপ্তি হল কংগ্রেসেরও। সংসদের দুই কক্ষে ভোটে জেতার পর দেশের ১৮টি শহরে খুচরো ব্যবসায় বিদেশি লগ্নির নীতি কার্যকর করতে সরকারের সামনে আর বাধা রইল না। সেই সঙ্গে এ-ও স্পষ্ট হয়ে গেল, এ ভাবেই মায়াবতীকে পাশে পেলে ভবিষ্যতে সংসদের দুই কক্ষে যে কোনও বিল (সংবিধান সংশোধন বিল ছাড়া) পাশ করিয়ে নিতে পারবে কংগ্রেস। তবে কংগ্রেস খুশি আরও একটি কারণে। দলের শীর্ষ নেতারা মনে করছেন, দুর্নীতি-সহ একাধিক বিষয়ে বিরোধীদের উপর্যুপরি আক্রমণের জেরে দীর্ঘদিন ধরে কুঁকড়ে থাকা কংগ্রেস এত দিনে ঘুরে দাঁড়ানোর অক্সিজেন পেল। আত্মবিশ্বাসে টগবগ করছে গোটা দল। আর এটাই এফডিআই ভোটাভুটির বড় প্রাপ্তি।
এই পরিস্থিতিতে হতভম্ব যদি কেউ হয়ে থাকেন, তিনি মুলায়ম সিংহ। মায়ার ভোটে যখন রাজ্যসভার পরীক্ষায় সসম্মানে পাশ করছে সরকার, তখন সরকারকে সাহায্য করতেই ভোটাভুটিতে অনুপস্থিত সপা। কিন্তু তাতে লাভ হল না মুলায়মের। উল্টে তাঁর পরোক্ষ সমর্থনের থেকে মায়ার প্রত্যক্ষ সমর্থনই গুরুত্ব পেয়ে গেল। হতাশ মুলায়ম তাই বিএসপি-র সমালোচনা করে বলেন, “সুবিধাবাদী রাজনীতি করলেন মায়াবতী।” |
|
|
|
|
|