ত্রিফলা কাণ্ডে শুধুমাত্র ডিজি (আলো)-কে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর প্রতিবাদে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের কাছে সওয়াল করলেন পুরসভার ১১ জন ডিজি। শুক্রবার মেয়র পারিষদদের বৈঠক শেষে ডিজি (প্রকল্প উন্নয়ন) নীলাংশু বসুর নেতৃত্বে তাঁরা মেয়রের ঘরে যান। তাঁদের দাবি, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ছাড়া কোনও ডিজি এ কাজ করতে পারেন না। অথচ এ ক্ষেত্রে ডিজি (আলো)-কে বলির পাঁঠা করা হল।
মেয়রের সঙ্গে সে সময়ে পুরসভার মেয়র পারিষদেরা ছিলেন। সকলের সামনেই ওই অফিসারেরা বলেন, এমনটা চলতে থাকলে পুরসভায় কাজ করা তাঁদের পক্ষে কঠিন হবে। এ ব্যাপারে মেয়রের হস্তক্ষেপ দাবি করেন ওই অফিসারেরা।
যদিও ডিজিদের দাবি পুরোপুরি মেনে নিতে নারাজ মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “কোটি টাকার ওই ফাইলগুলো ছোট অঙ্কে ভাঙাটা ঠিক হয়নি। এক একটা ফাইল ৬০-৬৫ লক্ষ টাকা করার ব্যাপারে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। সেই ফাইল ফের পাঁচ লক্ষ টাকার নীচে ভেঙেছেন ডিজি (আলো) গৌতম পট্টনায়ক। ওই কাজটা করার আগে কমিশনার বা মেয়রের অনুমোদন নেওয়ার দরকার ছিল। উনি তা না করে ভুল করেছেন।” তাঁর কাছে আসা অফিসারদের মেয়র অবশ্য এ কথাও বলেন, তড়িঘড়ি করতে গিয়ে ডিজি (আলো) এ কাজ করেছিলেন। যে ডিজি (আলো)-কে নিয়ে এ দিন পুরসভার অফিসারেরা মেয়রের কাছে দাবি জানাতে গিয়েছিলেন, সেই গৌতমবাবু অবশ্য গত ৩০ নভেম্বর চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ত্রিফলা আলো নিয়ে ইতিমধ্যেই ইন্টারনাল অডিট করেছে পুরসভা। সেই অডিটের খসড়া রিপোর্টও পুর-কমিশনারের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। ওই রিপোর্টেও পুরসভার ডিজি (আলো) ও তাঁর দফতরের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তোলা হয়েছে। আর তার পরেই গৌতমবাবুর পেনশন-সহ অবসরকালীন পাওনার প্রক্রিয়াও আটকে রয়েছে। |