শহরের উত্তর ও দক্ষিণ প্রান্তের দু’টি পাড়া। দূর-উত্তরের পাড়ার বাসিন্দাটি আততায়ী বলে অভিযোগ। তার গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন দক্ষিণের বাসিন্দা। শুক্রবারের এই ঘটনায় দুই পাড়াই স্তম্ভিত, হতবাক। দুই পাড়ারই সমান প্রতিক্রিয়া ‘এমন হতে পারে না।’ উত্তর ব্যারাকপুরের নবাবগঞ্জের মানুষ বলছেন, নিতান্ত শান্ত স্বভাবের সুনীল সরকার কাউকে খুন করতে পারেন না। আর দক্ষিণে পশ্চিম-পুঁটিয়ারির উকিলপাড়ার বক্তব্য, সকলের
|
মানব বসু |
বিপদে এক ডাকে ঝাঁপিয়ে পড়া মানব বসু এই ভাবে খুন হতে পারেন না।
কুঁদঘাটের উকিলপাড়ার ব্যানার্জিপাড়া রোডে স্টেট ব্যাঙ্কের কর্মী-অফিসারদের কলোনি। সেখানে প্রায় ২০ বছর ধরে থাকতেন মানব বসু। স্ত্রী সোমা আর ছেলে সোহমকে নিয়ে ছোট পরিবার। সোমাদেবী শ্রম দফতরের কর্মী, জলপাইগুড়িতে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়ছেন সোহম।
অফিস থেকে ফিরেই পাড়ার ক্লাবে যেতেন মানববাবু। ক্লাবের সচিব, অসম্ভব জনপ্রিয়। স্থানীয়েরা জানান, পুজো থেকে শুরু করে হাসপাতালে রোগী ভর্তি করা, দাতব্য চিকিৎসালয় চালানো, মৃতদেহ দাহ সব কিছুরই ভরসা ছিলেন মানবদা। ক্লাবের সদস্য মৃণালকান্তি দে, মানস সাহার মতো অনেকেই জানালেন, গত ১৫ বছর ক্লাবের সচিব নির্বাচনে মানবদার বিরুদ্ধে কেউ প্রার্থী হননি। এতটাই জনপ্রিয় ছিলেন তিনি।
ক্লাবের পিছনে মানববাবুদের গোলাপি রঙের দোতলা বাড়ি। ঘটনার খবর পেয়েই বাইরে প্রতিবেশীদের থমথমে ভিড়। দোতলার ঘরে স্ত্রী সোমা শুয়ে আছেন। তাঁকে ঘিরে রয়েছেন সহকর্মীরা। সোমাদেবী কোনও রকমে বলেন, “রোজের মতোই অফিসে বেরিয়েছিলেন। দুপুরে ফোন আসে, বলে ও আহত। হাসপাতালে যাব বলে নীচে নামতেই আবার পুলিশের ফোন, সব শেষ।”
অন্য দিকে, ব্যারাকপুরে সুনীলবাবুর বাড়িতেও চেনা পরিচিতের ভিড়। পাড়ায় আজ পর্যন্ত কারও সঙ্গে ঝগড়া-অশান্তি করেননি সুনীলবাবু। ব্যাঙ্কের চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগে সেনাবাহিনীর রাজপুত রেজিমেন্টের জওয়ান ছিলেন। বৃহস্পতিবার নাইট ডিউটি ছিল। এ দিন দুপুর দেড়টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। স্বাভাবিক ছিল সব কিছু। |