|
|
|
|
ক্ষতিপূরণের দাবিতে অবরোধ পাথর শিল্পাঞ্চলে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
দুর্ঘটনায় মৃত ব্যক্তির পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিতে পথ অবরোধ হল রামপুরহাট থানার শালবাদরা পাথর শিল্পাঞ্চল এলাকায়। শুক্রবার এই অবরোধের জেরে পাথর বোঝাই করতে আসা প্রায় আড়াইশো গাড়ি ঠাকুরপুরা-আম্বা মোড় রাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়ায় যানজটের সৃষ্টি হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কোনও এক গাড়ির ধাক্কায় বৃহস্পতিবার দুপুরে সোঁয়াসা ও গোয়ালা গ্রামের মাঝে ধানু হাঁসদা (৪৫) নামে ময়ূরেশ্বর থানার গোয়ালা গ্রামের ওই ব্যসিন্দাকে জখম অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় তাঁর। এর পরেই ক্ষুব্ধ জনতা শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে গোয়ালা গ্রামের আদিবাসী পাড়ায় ঠাকুরপুরা-আম্বা মোড় রাস্তায় অবরোধ শুরু করেন।
প্রথমে পুলিশ চেষ্টা করে অবরোধ তুলতে পারেনি। অবরোধকারীদের দাবি, মৃতের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকার বেশি ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। পাথর শিল্পাঞ্চলের মালিক পক্ষ এতে রাজি না হওয়ায় অবরোধ চলতে থাকে। শেষ পর্যন্ত বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ নিজেরাই অবরোধ তুলে নেন। সংশ্লিষ্ট মল্লারপুর ১ পঞ্চায়েতের প্রধান ধীরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এদিন রামপুরহাটে জেলাশাসকের ডাকা উন্নয়নমূলক বৈঠকে বিডিও উপস্থিত ছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পরে অবরোধকারী ও মালিক পক্ষকে নিয়ে বিডিও-র আলোচনায় বসার কথা ছিল।” ময়ূরেশ্বর ১ ব্লকের বিডিও বিশ্বনাথ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ আলোচনায় বসার আগেই সাড়ে পাঁচটা নাগাদ অবরোধ উঠে যায়।” যদিও বৈঠকে বসার জন্য তাঁদের সঙ্গে কোনও আলোচনা হয়নি বলে দাবি মালিক পক্ষের।
এ দিকে, শালবাদরা স্টোন মাইনস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সম্পাদক সন্তোষ গুপ্তের দাবি, “ঠাকুরপুরা-আম্বা মোড় রাস্তায় পাথর শিল্পাঞ্চলের গাড়ি ছাড়া আরও অনেক গাড়ি যাতায়াত করে। কোন গাড়ির ধাক্কায় ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে কী করে বলব। তাই ক্ষতিপূরণের ব্যপারে পাথর ব্যবসায়ীরা দায়বদ্ধ হবে এটা কোন ধরনের যুক্তি। মানবিকতার খাতিতে অ্যাসোসিয়েশনের অ্যাম্বুল্যান্সে করে ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। শুধু তাই নয়, সৎকার বা অন্যান্য খরচ মালিক পক্ষ বহন করবে বলেছিল। কিন্তু পাঁচ লক্ষের বেশি টাকা দাবি করলে সেটা কী করে সম্ভব।” তিনি জানান, প্রশাসনকে জানানোর পরেও অবরোধ তুলতে পারেনি।
আদিবাসী গাঁওতার জেলা আহ্বায়ক সুনীল সোরেন বলেন, “এলাকায় আদিবাসীরা ক্ষতিপূরণের দাবিতে অবরোধ করেছেন বলে শুনেছি। খোঁজ নিয়ে দেখব।” জেলা পুলিশ সুপার মুরলিধর শর্মাকে সন্ধ্যায় ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “কোথায় কী হয়েছে খোঁজ নিয়ে দেখছি।” |
|
|
|
|
|