নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, দলত্যাগী চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে আজ, শুক্রবার শিলিগুড়ি পুরসভায় অবস্থান বিক্ষোভ দেখাবেন বাম কাউন্সিলররা। তাঁদের অভিযোগ, নকশা অনুমোদন ছাড়াই ১১টি নির্মাণ কাজের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। আইন মেনে সেগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি কয়েক মাস ধরেই জানিয়ে আসা হচ্ছে। নানা ভাবে তা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। ল’ সেলের তরফেও অবৈধ নির্মাণগুলি ভেঙে দেওয়ার পক্ষে মত দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া অন্যান্য অবৈধ নির্মাণের যে সমস্ত অভিযোগ উঠেছে সেগুলির বিরুদ্ধেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
পুরসভার বিল্ডিং বিভাগে মেয়র পারিষদ সীমা সাহা বলেন, “অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে অভিযান ইতিমধ্যেই শুরু করা হয়েছে। ফের কবে অভিযান হবে তা মেয়রের সঙ্গে কথা বলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
মেয়র পারিষদ এ কথা জানালেও তাতে ভরসা রাখতে পারছেন না অনেকেই। বিশেষ করে একাধিকবার অবৈধ নির্মানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অভিযান শুরু করা হলেও দুই একটি ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়ার পর তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
এই ঘটনার ব্যতিক্রম ঘটেনি বারও। ৬টি অবৈধ নির্মাণ ভাঙতে কর্তৃপক্ষকে নোটিশ পাঠিয়ে অভিযান শুরু করা হলেও ৩টির ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিয়েছেন পুর কর্তৃপক্ষ। তার পরেই অভিযান বন্ধ করে দেওয়া হয়। পর্যাপ্ত কর্মীর অভাব, পুরসভার অন্য গুরুত্বপূর্ণ কাজের কারণ দেখিয়ে আপাতত তা স্থগিত রাখার কথা বলা হলেও বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছেন অবৈধ নির্মাণগুলির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পুর কতৃর্পক্ষের সদিচ্ছা নিয়ে।
বামেদের প্রশ্নের জবাবে ডেপুটি মেয়র রঞ্জন শীলশর্মা জানান, সিপিএমের দলীয় কার্যালয়-সহ কয়েকটি ক্ষেত্রে অবৈধ নির্মাণ কাজ হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখবেন তাঁরা। অতীতে বাম জমানায় শহরের হিল কার্ট রোড, সেবক রোডের মতো যে সমস্ত বহুতল রয়েছে তার অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পার্কিংয়ের ব্যবস্থা না থাকায় অভিযোগ তুলেছেন রঞ্জনবাবু। আর বামেরা মন্ত্রী মেয়রের নাম জড়িয়ে যে অভিযোগ তুলেছেন তার প্রমাণ দিতে না-পারলে মানহানির মামলাও করা হবে, জানান তিনি।
বামেদের অবস্থান বিক্ষোভের অন্যতম কারণ দলত্যাগী চেয়ারম্যান নান্টু পালের পদত্যাগ। নান্টুবাবু সম্প্রতি কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে গিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করে সভা ডাকার দাবি জানিয়েছিলেন বিরোধী বামেরা। তা মানা হচ্ছে না দেখে কংগ্রেসের কাউন্সিলররাও নান্টুবাবুর পদত্যাগ দাবি করেছেন। ওই দাবিতে বাম এবং কংগ্রেস কাউন্সিলররা সরব হওয়ায় একটি বোর্ড মিটিং ভণ্ডুল হয়ে গিয়েছে। গত ২ মাস বোর্ড মিটিংয়ে বাম কাউন্সিলররা অংশ নিচ্ছেন না। মেয়র এবং দলের মেয়র পারিষদরা অংশ নিলেও কংগ্রেসের অন্যান্য কাউন্সিলররাও একই ভাবে বোর্ড মিটিংয়ে না গিয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
|