সিনক্রোট্রনের সুপারিশ
বারুইপুরে পড়ে ১৯৭ একর জমি, মমতাকে চিঠি সুজনের
লকাতার কাছেই রাজ্য সরকারের অধিগ্রহণ করা ১৯৭ একর জমি ফাঁকা পড়ে আছে। অথচ তা জানেই না মহাকরণ! শেষ পর্যন্ত সিপিএমের এক নেতাকেই তা চিঠি লিখে মনে করিয়ে দিতে হল মুখ্যমন্ত্রীকে।
সিপিএমের দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক তথা প্রাক্তন সাংসদ সুজন চক্রবর্তী মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে ওই জমির কথা জানিয়েছেন। সাহা ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্স-এর সিনক্রোট্রন পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রের জন্য রাজ্য সরকারকে ১০০ একর জমি খুঁজতে হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত ঠিক হয়েছে, পুরুলিয়া-বাঁকুড়া বা নদিয়ায় ওই জমি দেবে রাজ্য। কিন্তু সুজনবাবু চান, কলকাতার উপকণ্ঠে বারুইপুরে তৈরি হোক ওই পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রটি। কারণ, সেখানে রাজ্য সরকারের অধিগ্রহণ করা ১৯৭ একর জমি রয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে সুজনবাবু বলেছেন, বারুইপুরে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সদর সরিয়ে আনার জন্য ২০০৬-০৭ সালে রাজ্য সরকার ৫০০ একর জমি অধিগ্রহণ করেছিল। তার মধ্যে ১৯৭ একর জমি এখনও অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তার থেকে ১০০ একর জমি নিয়ে সেখানে তৈরি হতে পারে ওই পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রটি। মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয় সূত্রে বলা হয়, সুজনবাবুর ওই চিঠিটি দফতরে জমা পড়লেও তা এখনও মুখ্যমন্ত্রী পড়ে দেখেননি।
সুজনবাবু জনিয়েছেন, জেলা সদর-সহ ন’টি জাতীয় গবেষণা কেন্দ্রের জন্য ২০১০ সালেই জমি বণ্টন হয়ে গিয়েছে। ১৪০ একর জমি বরাদ্দ করা হয়েছে ন’টি জাতীয় গবেষণা কেন্দ্রের জন্য। ইতিমধ্যেই কয়েকটি গবেষণা কেন্দ্রের নির্মাণ কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। তার পরেও বারুইপুরে ১০০.৫ একর কেএমডিএ-র হেফাজতে রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ শিল্প নিগমের অধীনে রয়েছে ৯৬.৫ একর জমি। ওই জমি পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রের জন্য রাজ্য সরকার চিহ্নিত করতে পারে। ওই জমি গবেষণা কেন্দ্রের জন্য মঞ্জুর করলে আইনগত কোনও সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সিপিএম সম্পাদক। কেন? চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রীকে তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন সুজনবাবু। তিনি বলেছেন, শর্তসাপেক্ষে ওই জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, কেবলমাত্র সরকারি প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে। হাসপাতাল, মেডিক্যাল কলেজ, শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে ওই জমি।
সুজনবাবুর দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর একাধিক সহকর্মীকে মৌখিক ভাবে বারুইপুরের ওই জমির বিষয়টি তিনি জানিয়েছেন। কিন্তু রাজ্যের তরফ থেকে কোনও সাড়া মেলেনি। তাই সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকেই চিঠি লিখেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা ওই চিঠির অনুলিপি পাঠিয়েছেন সাহা ইনস্টিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্স-এর অধিকর্তাকেও। সঙ্গে ওই জমির মাস্টার প্ল্যানও জমা দেওয়া হয়েছে। সাহা ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্স-এর অধিকর্তা মিলন কুমার সান্যালও বলেন, সুজনবাবুর চিঠির প্রতিলিপি তিনি পেয়েছেন। সুজনবাবু বলেন, “জমি অধিগ্রহণের সময় ওই এলাকার সাংসদ ছিলাম আমি। এখন রাজ্যে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প জমি জটে আটকে রয়েছে। এমন গবেষণা কেন্দ্র ভারতে একটিই হবে। আর সেটি হবে আমাদের রাজ্যে। রাজ্যের উন্নয়নের স্বার্থে মুখ্যমন্ত্রীকে বিষয়টি জানানোর প্রয়োজন মনে করেছি। তাই সরাসরি তাঁকেই চিঠি দিয়েছি।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.