আদ্রা রেলশহরে রেলের ঠিকাদারিতে যুক্ত এক যুবককে খুনের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে অভিযোগে পাঁচ আন্তঃরাজ্য দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঝাড়খণ্ডের বোকারোর জেলে বন্দি ওই পাঁচ জনকে সম্প্রতি জেল থেকেই গ্রেফতার করে নিয়ে আসা হয়েছে আদ্রায়।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতেরা হল অভয়প্রতাপ সিংহ, ধর্মেন্দ্র সিংহ, কমলেশ সিংহ, নীতেশ কুমার ও অভিষেক সিংহ। এরা উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড ও বিহারের বাসিন্দা। কিন্তু ওই সব রাজ্যে বিভিন্ন অপরাধে পুলিশ তাদের খোঁজায় তারা বোকারোর বালিডিতে আত্মগোপন করেছিল। সম্প্রতি ধৃতদের রঘুনাথপুর আদালতে তোলা হলে ৩ দিনের পুলিশ হেফাজত হয়। পুলিশের দাবি, ধৃতরা জেরার মুখে খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা কবুল করেছে।
চলতি বছরের এপ্রিল মাসের গোড়ায় এক দুপুরে আদ্রার ডিআরএম কর্যালয়ের সামনে গুলি করে খুন করা হয়েছিল আদ্রারই বাসিন্দা রেলের ঠিকাদারির কাজে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেটের সদস্য লক্ষ্মণ প্রসাদকে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানায়, রেলের ঠিকাদারি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ঝাড়খণ্ড থেকে ভাড়াটে খুনি এনে লক্ষ্মণকে হত্যা করানো হয়। সেই সময়েই রঘুনাথপুরের বাসিন্দা সুভাষ রায় নামের এক রেলের ঠিকাদারকে পুলিশ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতারও করে। যদিও এ ছাড়া ওই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে বিশেষ অগ্রগতি ঘটেনি।
ঝাড়খণ্ডের অপরাধীদের যে এই ঘটনায় হাত রয়েছে, পুলিশ সে ব্যাপারে নিশ্চিত ছিল। বারবারই তদন্তকারী অফিসারেরা ঝাড়খণ্ডে গিয়েছিলেন। পুলিশ এক জনের নাম পায়। কিন্তু খোঁজ নিয়ে তারা জানে, সেই দুষ্কৃতীকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে ঝাড়খণ্ডের চন্দনকেয়ারি থানার পুলিশ। এর পরেই বোকারো জেল থেকে ওই পাঁচ জনকে লক্ষ্মণ-খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করে নিয়ে আসা হয়। ওই খুনের ঘটনায় জড়িত, এমনই এক প্রত্যক্ষদর্শীকে দিয়ে ধৃতদের শনাক্তকরণও করিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃতেরা জানায়, টাকার বিনিময়ে তারা লক্ষ্মন প্রসাদকে খুন করেছিল। তবে কারা খুনের ঘটনার মূল মাথা, তদন্তের স্বার্থে পুলিশ তা জানাচ্ছে না। জেলা পুলিশের এক আধিকারিকের কথায়, “আদ্রায় রেলের ঠিকাদারি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে আগেও খুনের ঘটনা ঘটেছে। তবে সেগুলির তদন্তে বিশেষ অগ্রগতি ঘটেনি। এ বার ওই বিষয়ে বিশদে তথ্য মিলেছে।” |