|
|
|
|
দোকানিদের পুনর্বাসনে মন্ত্রীকে চিঠি সভাধিপতির |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
রাস্তার পাশে যাঁরা দোকানঘর করেছেন, তাঁদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে পূর্তমন্ত্রী সুদর্শন ঘোষ দস্তিদারকে চিঠি দিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা ভট্টাচার্য। বৃহস্পতিবারই ফ্যাক্স মারফৎ মন্ত্রীর কাছে ওই চিঠি পৌঁছনো হয়েছে বলে জেলা পরিষদ সূত্রে খবর। কেন এই আবেদন? জেলা সভাধিপতি বলেন, “ডেবরা- সবং নতুন রাস্তা তৈরির জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। রাস্তা তৈরি হলে স্থানীয় মানুষই উপকৃত হবেন। তবে তেমাথানির কাছে লুটুনিয়া বাজারে কিছু গরিব মানুষ রাস্তার পাশে অস্থায়ী দোকানঘর করে তাঁদের সংসার প্রতিপালন করছেন। রাস্তা সম্প্রসারণ হলে দোকানঘরগুলো সরাতে হবে। ফলে ওই গরিব মানুষের মনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।” তাঁর কথায়, “দোকানদারদের অন্য জায়গায় ঘর করে যাতে পুনর্বাসন দেওয়া যায়, মন্ত্রীকে চিঠি লিখে সেই আবেদনই জানিয়েছি। বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করার অনুরোধ জানিয়েছি।”
ডেবরা-সবং রাস্তাটি জেলার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলোর মধ্যে একটি। দীর্ঘদিন ধরেই রাস্তাটি বেহাল হয়ে পড়ে রয়েছে। খানাখন্দে ভরা রাস্তার উপর দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলে। শুধু এটাই নয়, এই রাস্তা নির্মাণে প্রযুক্তিগত ত্রুটি ছিল বলেও অভিযোগ। ফলে একটু দ্রুত গতিতে গাড়ি চলাচল করলেই নিয়ন্ত্রণ রাখা কঠিন হত। ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনাও ঘটে। তবে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ইতিমধ্যে রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নতুন করে রাস্তা তৈরির পাশাপাশি তিনটি নতুন সেতু তৈরি করা হবে। একটি সেতু সংস্কার করা হবে। তার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ১০৪ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে। ডেবরা থেকে সবং রাস্তার দুরত্ব ২৬.৮ কিলোমিটার। ৭ মিটার চওড়া রাস্তা ও তিনটি সেতুর জন্য কেন্দ্রীয় সড়ক তহবিল থেকে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। এই রাস্তাটি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এই পথ দিয়ে শুধুমাত্র সবং নয়, পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরও যাওয়া যায়। যাত্রীবাহী বাসের পাশাপাশি পন্যবাহী ছোট বড় যানবাহনও চলে প্রচুর পরিমাণে। রাস্তা খারাপ থাকায় প্রায়ই দুর্ঘটনাও ঘটে। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা সভাধিপতি অন্তরা ভট্টাচার্য বলেন, “কাজটি রুপায়নের আশায় স্থানীয় মানুষের মধ্যে উৎসাহ দেখা দিয়েছে। তবে যাঁরা অস্থায়ী দোকানঘর করে সংসার প্রতিপালন করছেন, তাঁদের বিষয়টিও সরকারের ভেবে দেখা উচিত।” |
|
|
|
|
|