|
|
|
|
আমন্ত্রণে আমরা-ওরা |
সেচ দফতরের
বৈঠকে ব্রাত্য সভাধিপতি |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
দু’দিন আগেই মুখ্যমন্ত্রীর বাঁকুড়া-পুরুলিয়া সফরে প্রশাসনিক বৈঠকে বিরোধী দলের বিধায়কদের আমন্ত্রণ জানিয়েও আসতে বারণ করা হয়েছিল। এ বার সেই ‘আমরা-ওরা’র ছায়া কেলেঘাই-কপালেশ্বরী প্রকল্প নিয়ে সেচ দফতরের বৈঠকে। কাল, শনিবার হলদিয়ায় এই প্রকল্প নিয়ে এক বৈঠক ডেকেছে সেচ দফতর। উপস্থিত থাকবেন সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূল পরিচালিত জেলা পরিষদ সভাধিপতি ও সহ-সভাধিপতিকে। কিন্তু আমন্ত্রণ পাননি পশ্চিম মেদিনীপুরে সিপিএম জেলা সভাধিপতি এবং সহ-সভাধিপতি। দুই জেলার জেলাশাসককে অবশ্য বৈঠকে ডাকা হয়েছে।
পশ্চিম মেদিনীপুরের সভাধিপতি অন্তরা ভট্টাচার্যের এমন অভিজ্ঞতা আগেও হয়েছে। সে কথা মনে করিয়ে দিয়েই তিনি বলেন, “শুধু সেচ দফতরের এই বৈঠক নয়, আগেও বিভিন্ন দফতরের মন্ত্রীরা জেলায় এসে বৈঠক করেছেন। অথচ সেখানে আমাকে ডাকা হয়নি। তৃণমূল সরকারের কাছে এমন আচরণই প্রত্যাশিত।” সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবশ্য দাবি, “এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। শনিবারের বৈঠকে মূলত পূর্ব মেদিনীপুরের এলাকা নিয়ে আলোচনা হবে। তাই ওই জেলার সভাধিপতি, সহ-সভাধিপতিকে ডাকা হয়েছে। পরে যখন পশ্চিম মেদিনীপুর নিয়ে আলোচনা হবে, তখন ওই জেলার সভাধিপতি, সহ-সভাধিপতিকে ডাকা হবে।” তাহলে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসককে ডাকা হল কেন? মন্ত্রীর ব্যাখ্যা, “অনেক প্রশাসনিক বিষয় থাকে। তাই জেলাশাসককে বৈঠকে ডাকা হয়েছে।” অন্তরাদেবী অবশ্য মনে করেন, “উন্নয়ন সংক্রান্ত বৈঠকে জেলা পরিষদের প্রতিনিধি থাকলে ভাল হয়। কী সমস্যা হচ্ছে, কী ভাবেই বা সেই সমস্যা কাটিয়ে ওঠা যায়, তা নিয়ে আলোচনার সুযোগ থাকে। তাহলে কাজ এগোতেও সুবিধে হয়।” কেলেঘাই-কপালেশ্বরী-বাগুই নদী সংস্কার প্রকল্পের সঙ্গে দুই মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা জড়িয়ে রয়েছে। নদী সংলগ্ন খাল মজে যাওয়ায় সবং, পিংলা, পটাশপুরের বহু এলাকা বন্যার কবলে পড়ে। পরিস্থিতি পরিবর্তনে আটের দশক থেকে কেলেঘাই-কপালেশ্বরী-বাগুই নদী সংস্কারের দাবি তোলেন স্থানীয়রা। অবশেষে গত বছর কেন্দ্রীয় বাজেটে অর্থ বরাদ্দ করা হয়। ২০১৪ সালের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা। |
|
|
|
|
|