ইডেনে ভারত-ইংল্যান্ড আকর্ষণীয় টেস্ট এবং যুবভারতীতে আই লিগে মরসুমের প্রথম ধুন্ধুমার ডার্বিএকই সঙ্গে খেলার মাঠের এই রাজযোটক কখনও হয়েছে বাংলায়? হোক না হোক টেস্ট পঞ্চম দিনে গড়ালে কী হবে তা নিয়ে চিন্তায় প্রশাসন।
পাশাপাশি বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে, যদি ৯ ডিসেম্বর ক্রিকেট এবং ফুটবল ম্যাচ একসঙ্গে হয় তা হলে কোন মাঠে দর্শক বেশি হবে? আই এফ এ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় বলে দিলেন, “আমি চ্যালেঞ্জ করছি যুবভারতীর অর্ধেক দর্শকও থাকবে না ইডেনে। আমার আশা,যুবভারতী ভর্তি হয়ে যাবে।” চ্যালেঞ্জ অবশ্য গ্রহণ করেছেন সি এ বি-র কোষাধ্যক্ষ বিশ্বরূপ দে। বললেন, “টেস্ট ম্যাড়মেড়ে ভাবে শেষ হলে আলাদা কথা। কিন্তু যদি জয়-পরাজয়ের অবস্থায় ম্যাচ থাকে তা হলে কিন্তু ইডেন ভর্তি থাকবে।” বড় ম্যাচের দু’দিন আগে অবশ্য চিডি-ওডাফা লড়াইয়ের টিকিটের চাহিদা তুঙ্গে। তবে করিমের টিমের চেয়ে টিকিট কেনায় মর্গ্যান সমর্থকদের আগ্রহ বেশি। ম্যাচের সংগঠক ইস্টবেঙ্গলের প্রধান কর্তা দেবব্রত সরকার যা হিসাব দিলেন তাতে এক লাখের বেশি দর্শক আসবেন। “মোহনবাগান মাঠেও কাউন্টার করেছি। ওদের তো ফেডারেশনের মাধ্যমে পঞ্চাশ শতাংশ টিকিট নিতে বলেছিলাম,” বলে দিলেন দেব্রবত। |
যুবভারতীর তুলনায় ইডেনে দর্শক আসন অনেক কম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যদি দুই মাঠই ভর্তি থাকে তা হলে কী হবে তা নিয়ে চিন্তিত প্রশাসন। কলকাতা ও বিধাননগর-- দুটি আলাদা পুলিশ কমিশনারের তত্ত্বাবধানে দুটি মাঠে খেলা হবে। কিন্তু পুলিশের আশঙ্কা, টেস্ট ম্যাচের শেষ দিনে, ডার্বির জয়-পরাজয়ের উচ্ছ্বাস আছড়ে পড়তে পারে ময়দানে। সে জন্যই দফায় দফায় আলোচনা চলছে। উত্তেজক পরিস্থিতি বুঝে ইস্টবেঙ্গল অভিনব প্রচারপত্র ধরাচ্ছে টিকিট কিনতে আসা সমর্থকদের। যাতে মোহনবাগানের নাম না করে অনুরোধ করা হয়েছে, বিপক্ষ দলের খেলোয়াড়, সভ্য, সমর্থকদের প্রতি কোনও কটূক্তি না করার জন্য। ডার্বি ম্যাচের ইতিহাসে যা অভিনব।
মোহনবাগানকে টিকিট-সহ নানা ব্যাপারে ‘সৌজন্য’ দেখালেও মাঠে কিন্তু এক ইঞ্চি জমিও ছাড়তে নারাজ লাল-হলুদ কর্তারা। খেলা শুরু হওয়ার তিন দিন আগে থেকেই তাই চাপান-উতোর শুরু হয়ে গেল দু’পক্ষের মধ্যে। ইস্টবেঙ্গলের প্রধান কর্তা দেবব্রত সরকার বলে দিলেন, “ডার্বি ম্যাচে রেফারিং নিয়ে ভয় পাচ্ছি। গত দু’টো বড় ম্যাচে খুব খারাপ রেফারিং হয়েছিল। আমাদের ন্যায্য গোল বাতিল হয়েছিল।” যা শুনে মোহনবাগান সচিব অঞ্জন মিত্রের মন্তব্য, “আবার চাপের খেলা শুরু করে দিল ইস্টবেঙ্গল। আমাদের কিন্তু রেফারির উপর পূর্ণ আস্থা আছে।” অন্য ম্যাচে ফেডারেশন বহু আগে রেফারিদের নাম জানালেও, বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত কোন রাজ্যের রেফারিরা ডার্বি ম্যাচে মুখে বাঁশি নিয়ে নামবেন তা গোপন রেখেছে তারা।
টেস্টের উত্তাপের মধ্যে ডার্বিকে আকর্ষণীয় করতে লাল-হলুদ কর্তারা অনেক কিছু করছেন। রাস্তায় ফুটবলারদের ছবি লাগান ট্যাবলো থেকে বিক্রি হচ্ছে টিকিট। ডার্বিতে যা কখনও হয়নি সেটা হল এ দিন সকালে। ইস্টবেঙ্গল মাঠ থেকে চিডি-পেন-রবিনরা টিকিট বিক্রি করলেন সমর্থকদের কাছে। রবিবার দুপুরে অবশ্য ম্যাচের আগে আরও নানা চমক থাকছে। |