দিনের খেলা শেষ। দশ মিনিটও গড়ায়নি। হঠাৎ বীরেন্দ্র সহবাগ ড্রেসিংরুমের দরজা ঠেলে বেরিয়ে এসে এক সিঅবি সদস্যকে দেখামাত্র বললেন, “ফটাফট এক গাড়ি কি বন্দোবস্ত কিজিয়ে, ফটাফট।”
ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান জাইলস ক্লার্ক-সহ একঝাঁক ব্রিটিশ অতিথি তখন সদ্য ইডেন ছেড়ে বেরিয়েছেন। তাঁদের নিয়েই ব্যস্ত নিরাপত্তায় কর্তব্যরত কর্তারা। একটু সময় চাওয়া হল আর তাতে সহবাগের উত্তর, “হ্যাঁ, কিন্তু দু’মিনিটের বেশি নয়।”
এত তাড়া কেন বীরুর? |
সারা দিন ইংরেজ ব্যাটসম্যানদের হাতে দুরমুশ হওয়ার পর ইডেনের ঝাঁ-চকচকে ড্রেসিংরুমকেও হয়তো দম বন্ধ করা অন্ধকার গুহা মনে হচ্ছিল ধোনির দলের তারকাদের। কিছুক্ষণ পর যখন গাড়ির বন্দোবস্ত হল, তখন শুধু সহবাগ নন, তাঁর সঙ্গে একে একে বেরিয়ে পড়লেন সচিন, ধোনিও। গম্ভীর মুখ। কেউ কারও সঙ্গে কথা বলছেন না। কিন্তু শুক্রবার সকালেও যাতে এমন মেজাজ না থাকে টিম ইন্ডিয়ার, এ দিন খেলার পর গোটা বিকেলটা সেই চেষ্টাতেই কাটালেন সচিন। দলের অধিনায়ক নন তো কী? সতীর্থদের ‘পাজি’ অর্থাৎ দাদা তো বটেই।
দিনের খেলার পর দলের ছেলেদের কাছে ছোট্ট যে বক্তব্য রাখেন সচিন, তার সারমর্ম, সবাই মিলে লড়াইয়ে ফিরে আসতেই হবে। হাল ছাড়লে চলবে না। প্রজ্ঞান ওঝাকে যখন কোচ ডানকান ফ্লেচার দলের ভিডিও অ্যানালিস্টের কাছে নিয়ে যান, বাঁহাতি স্পিনারের বোলিংয়ে কোথায় গলদ হচ্ছে বোঝানোর জন্য, তখন সেখানেও যোগ দেন সচিন।
সচিন ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে পড়েছেন বটে, কিন্তু শুক্রবার সম্ভবত বোর্ড প্রেসিডেন্ট এন শ্রীনিবাসনের প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে ধোনিদের। এ দিন শহরে পৌঁছে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে যান শ্রীনিবাসন। ভারতীয় দলের জন্য পুজোও দেন। কিন্তু জানা গিয়েছে, টিমের পারফরম্যান্সে এতটাই হতাশ তিনি যে ইডেনেই ধোনিদের সঙ্গে ছোটখাটো বৈঠক সারতে চান। কথা বলবেন নির্বাচকদের সঙ্গেও। |