|
|
|
|
বিদ্যুৎ কর্মীদের ধর্মঘট ঝাড়খণ্ডে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
রাঁচিতে সিএএসসি ও জামশেদপুরে টাটার হাতে বিদ্যুৎ বন্টনের ভার তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ঝাড়খণ্ড বিদ্যুৎ পর্ষদ কর্মীদের ধর্মঘটে আজ ভোর থেকে রাজ্য জুড়ে বিপর্যস্ত জনজীবন। বিপর্যস্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ। বিদ্যুৎ না-থাকায় বিঘ্নিত হয়েছে জল সরবরাহ। স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে যাবতীয় কাজকর্ম। বিদ্যুৎ না-থাকায় এ দিন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাজ্যের সংবাদ মাধ্যমের কাজকর্মও।
তবে রাজ্যের কয়লা খনি, চিকিৎসা ব্যবস্থা-সহ আপৎকালীন পরিষেবামূলক কাজে বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখতে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে ঝাড়খণ্ড বিদ্যুৎ পর্ষদ। ধানবাদ, বোকারো, রামগড়, হাজারিবাগ, চাতরা এবং সাঁওতাল পরগনা-সহ গোটা রাজ্যের সমস্ত খনি অঞ্চলের বিদ্যুতের সাব-স্টেশনগুলি চালু রাখার ব্যবস্থা হয়েছে বলে প্রশাসনের দাবি। পুলিশ এবং সাধারণ প্রশাসন সূত্রের খবর, রাজ্যের খনি এলাকা-সহ বিশেষ কিছু জরুরি পরিষেবামূলক অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে পর্ষদ থেকে কর্মী এবং নিরাপত্তা চাওয়া হয়েছে। পর্ষদের চাহিদা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট এলাকার সাব-স্টেশনগুলিতে কর্মী এবং নিরাপত্তা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
বিদ্যুৎ পর্ষদ সূত্রের খবর, রাজ্যে দফতরের প্রায় ৪৮৮টি সাব-স্টেশন রয়েছে। কর্মীদের ধর্মঘটের জন্য বেশকিছু সাব-স্টেশনের কাজ মার খাচ্ছে। খনি এবং জরুরি পরিষেবামূলক এলাকার সাব-স্টেশনগুলি চালু রাখা গেলেও শহরের বসতি এলাকা-সহ বিস্তীর্ণ গ্রামাঞ্চলের বিদ্যুৎ সরবরাহ মার খেয়েছে। পর্ষদের চেয়ারম্যান এস এন বর্মা জানিয়েছেন, কর্মীদের ধর্মঘটের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে ঠিকই। তবে অতিরিক্ত কর্মী পাঠিয়ে সাব-স্টেশনগুলি চালু রাখার চেষ্টাও হচ্ছে।
রাঁচি ও জামশেদপুরে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার প্রতিবাদে কাল সন্ধ্যা থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ঝাড়খণ্ডের বিদ্যুৎকর্মী সমন্বয় সমিতি। ধর্মঘটের প্রথম দিনেই রাজধানী রাঁচি, ইস্পাতনগরী জামশেদপুর, কয়লানগরী ধানবাদ এবং স্টিলসিটি বোকারোর বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ বিদ্যুৎ সঙ্কটে নাজেহাল হয়েছেন। বিদ্যুৎ না-থাকায় জলসঙ্কটে ভুগেছে শহরাঞ্চলের বহুতলগুলি। |
|
|
|
|
|