|
|
|
|
সি বি আই অস্ত্রেই বাজিমাত মায়াবতীর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেই ফলাফল জানিয়ে দিলেন মায়াবতী! খুচরো ব্যবসায় বিদেশি লগ্নি (এফডিআই) নিয়ে রাজ্যসভায় ভোটাভুটি হবে কাল। তার ২৪ ঘণ্টা আগেই রাজ্যসভায় মায়াবতী জানিয়ে দিলেন, সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখতে সরকারের পক্ষেই ভোট দেবেন তিনি।
দলিত নেত্রীর এই ঘোষণায় রাজ্যসভা নিয়ে উদ্বেগ অনেকটাই কাটল ইউপিএ সরকারের। পাশাপাশি এই ঘটনা এফডিআই নিয়ে বাম, বিজেপি, তৃণমূলের ঐক্যবদ্ধ বিরোধিতার হাওয়াও বের করে দিল।
রাজনীতির কারবারিদের মতে, বিরোধীরা কংগ্রেসের খেলা পুরোটা ধরতে পারেননি। বিজেপি ও বামদলগুলি ভেবেছিল, লোকসভার মতো রাজ্যসভাতেও মায়া-মুলায়ম ভোটাভুটিতে অনুপস্থিত থাকলে সরকারের পরাজয় অনিবার্য।
ভোটাভুটিতে অনুপস্থিত থেকে গতকাল লোকসভাতে সরকারের সুবিধা করে দিয়েছিলেন বসপা নেত্রী। একই পথে হেঁটেছিলেন মুলায়ম।
কিন্তু মায়া-মুলায়ম ভোট বয়কট করা মাত্রই বিজেপি নেতারা বলতে শুরু করেন, সিবিআইয়ের ভয় দেখিয়ে এফডিআই পাশ করালো সরকার। এ কথা বলে তাঁরা মায়া-মুলায়মের মুখোশ খুলে দিতে চেয়েছিলেন। যাতে চাপের মুখে তাঁরা সরকারকে সমর্থন না করেন। বসপা সূত্রে খবর, শুধু এফডিআই নিয়ে বক্তৃতা
দিয়ে সরকারকে সমর্থন জানালে বিজেপি ফের সিবিআইয়ের ধুয়ো তুলতে পারত।
কিন্তু সেই কৌশল ভেস্তে দিয়ে আজ বিজেপি-র বিরুদ্ধেই সিবিআইয়ের অপব্যবহারের অভিযোগ এনেছেন মায়া।
জানিয়েছেন, এনডিএ জমানায় তাঁকে বিপাকে ফেলতে সিবিআইকে ব্যবহার করে একের পর মামলা ঠুকেছিল বিজেপি। সেই সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছেন, সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখতেই সরকারের পক্ষে ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
সাম্প্রদায়িকতার প্রশ্নে মায়া সুর চড়িয়ে দেওয়ায় তৃণমূল, বামদলগুলিও কিছুটা অস্বস্তিতে। সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি বলেছেন, বিতর্ক সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে হচ্ছে না। তা হচ্ছে এফডিআই নিয়ে। তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন বলেন, সরকার মানব সম্পদ উন্নয়ন সূচক (এইচডিআই) নিয়ে চিন্তিত নয়, তার থেকে বেশি চিন্তা দেখাচ্ছে এফডিআই নিয়ে।
লোকসভার মতোই রাজ্যসভায় মুলায়মের দলের অনুপস্থিত থাকার সম্ভাবনা প্রবল।
সে ক্ষেত্রে ভোটাভুটি নিয়ে বিশেষ চিন্তা রইল না কেন্দ্রের। এই পরিস্থিতিতে পেনশন, বিমার মতো সংস্কারের কিছু কর্মসূচি সংসদে পাশ করাতে আরও সক্রিয় হতে পারে সরকার। |
|
|
|
|
|