একটি খোরপোষ মামলায় বিচারক-স্বামীর বিরুদ্ধে ‘ডিসট্রেস ওয়ারেন্ট’ বা ‘হাজিরা পরোয়ানা’ জারি করতে হল অন্য বিচারককে। বিচারক-স্বামী সঞ্জীব দত্তের বিরুদ্ধে তাঁর স্ত্রী ত্রিবর্ণা দত্ত এবং নাবালিকা মেয়ে মামলা দায়ের করেছিলেন। বর্তমানে খোরপোষ বাবদ তাঁদের পাওনা দাঁড়িয়েছে এক লক্ষ ৭২ হাজার টাকা।
আলিপুরের ফৌজদারি আদালতে সঞ্জীব দত্ত বিচারক থাকাকালীনই তাঁর বিরুদ্ধে অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে নিজের এবং নাবালিকা মেয়ের জন্য মাসে ২০ হাজার টাকা দাবি করে মামলা করেন ত্রিবর্ণাদেবী। আদালত উভয়কেই ১২ হাজার টাকা করে খোরপোষ দেওয়ার আদেশ দেয়। ইতিমধ্যে ওই বিচারক-স্বামী বদলি হয়ে আলিপুর থেকে উলুবেড়িয়া দেওয়ানি আদালতে চলে যান। বাদী ত্রিবর্ণাদেবীর আইনজীবী শান্তনু সিংহ জানান, বিচারক-স্বামীর কাছে তাঁর মক্কেলের পাওনা দাঁড়িয়েছে এক লক্ষ ৭২ হাজার টাকা। ওই আইনজীবী আদলতে অভিযোগ করেন, বিচারক হয়েও বিবাদী সঞ্জীববাবু মামলা হওয়ার পর থেকেই আদালতকে এড়িয়ে চলছেন। তাঁকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে কয়েক বার সমন জারি করা হয়েছিল। ঠাকুরপুকুর এলাকায় সঞ্জীববাবুর বাড়িতে তাঁকে সমন ধরাতে গিয়েও ধরানো যায়নি। ওই বিচারক সমন নিতে অস্বীকার করেন বলে অভিযোগ। তার পরে ত্রিবর্ণাদেবীর আবেদনক্রমে আদালত সঞ্জীববাবুকে হাজির করতে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু সেই বিজ্ঞাপন দেওয়ার পরেও তিনি আদালতে উপস্থিত হননি। আদালত তখন তাঁর বিরুদ্ধে হাজিরা পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেয়। তাতে তাঁকে ২১ জানুয়ারি আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে।
আদালতের নির্দেশ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে শান্তনুবাবু জানান, ওই পরোয়ানা জারি হওয়ায় সঞ্জীববাবুকে ওই তারিখের মধ্যে নিজে থেকে আদালতে হাজির হতে হবে। অন্যথায় পুলিশ দিয়ে তাঁকে ধরে আনানো ছাড়া আর কোনও উপায় থাকবে না। |