|
|
|
|
শহরে বৈঠক সুব্বারাওয়ের |
রাজ্যে ছ’টি জেলায় ব্যাঙ্কে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা মার্চে |
সংবাদসংস্থা • কলকাতা |
পশ্চিমবঙ্গের ছ’টি জেলায় বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পের টাকা সরাসরি প্রাপকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়বে আগামী মার্চ মাস থেকেই। কলকাতায় ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের স্টেট লেভেল ব্যাঙ্কার্স কমিটির বৈঠকে বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আরবিআই গভর্নর ডি সুব্বারাও।
আধার কার্ডের নম্বরের ভিত্তিতেই অনলাইনে কেন্দ্রীয় প্রকল্প ও ভর্তুকির টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর। দেশের ১৭টি রাজ্যের ৫১ জেলায় ইতিমধ্যেই ওই ব্যবস্থা চালু হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন সুব্বারাও। সারা দেশের মতো এ রাজ্যেও প্রক্রিয়াটি ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকবে রাজ্য। বহু দিন ধরে তা বাস্তবায়িত করার দাবি সত্ত্বেও এখনও তা কার্যকর হয়নি বলে অভিযোগ রাজ্যের।
পাশাপাশি, রাজ্যের আরও একটি অভিযোগের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিচ্ছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। বাড়ানো হচ্ছে ক্রেডিট ডিপজিট রেশিও। এই অর্থবর্ষে ওই হার ৬৩% থেকে বাড়িয়ে করা হচ্ছে ৬৫%। ২০১৩-’১৪ সালের লক্ষ্যমাত্রা ৬৮%।
এ দিন সার্বিক ভাবে রাজ্যের আর্থিক অবস্থা নিয়ে অবশ্য বিরূপ মন্তব্য করেন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কর্তা। বলেন, “অধিকাংশ রাজ্যের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গের আর্থিক অবস্থা বেশি সঙ্কটজনক। এই কারণেই বাজার থেকে ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের অন্য রাজ্যের তুলনায় ১০ থেকে ১২ বেসিস পয়েন্ট বাড়তি সুদ গুনতে হচ্ছে।’
ব্যাঙ্কগুলি কোনও রাজ্য থেকে সংগ্রহ করা আমানতের যে-অংশটা ওই রাজ্যেই ঋণ খাতে লগ্নি করে, তাকেই বলে ক্রেডিট ডিপজিট রেশিও (সিডি রেশিও)। সাধারণত যে-সব রাজ্যে শিল্পায়নের বহর বেশি, সেখানেই এই অনুপাত বেশি হয়। এ ব্যাপারে ব্যাঙ্ককর্তাদের বক্তব্য হল, ব্যাঙ্ক তো টাকা ধার দিতেই আগ্রহী। কিন্তু ঋণের চাহিদা না-থাকলে রেশিও বাড়বে কী করে। পশ্চিমবঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে শিল্পে খরা। এটাই এখানকার সিডি রেশিও কম হওয়ার মূল কারণ বলে মনে করেন ব্যাঙ্ক -কর্তারা। সিডি রেশিও নিয়ে লাগাতার অভিযোগ করে গিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অসীম দাশগুপ্তও। বর্তমান অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রও তাঁর পূর্বসূরির পথই অনুসরণ করছেন।
এই দিন সুব্বারাও জানিয়েছেন, রাজ্যের স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে ঋণের পরিমাণ বাড়ানোর ব্যাপারেও আগ্রহী রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। তিনি জানান, এ দিন স্টেট লেভেল ব্যাঙ্কার্স কমিটির বৈঠকে ঠিক হয়েছে, শুধু পুরনো স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে নয়, নতুন করে দেড় লক্ষ গোষ্ঠীকে ব্যাঙ্ক ঋণের আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রাও স্থির হয়েছে। |
|
|
|
|
|