|
|
|
|
ভিত্তি আধার নম্বর • ঠাঁই পায়নি পশ্চিমবঙ্গ |
১৭টি রাজ্যে এপ্রিলেই গ্যাসে ভর্তুকি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে |
দেবপ্রিয় সেনগুপ্ত • কলকাতা |
আধার কার্ডের নম্বরের ভিত্তিতে আগামী এপ্রিলের মধ্যে দেশের ১৭টি রাজ্যের ৫১ জেলায় সরাসরি গ্রাহকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এলপিজি-সিলিন্ডারের ভর্তুকি জমা দেবে কেন্দ্র। এর মধ্যে পূর্বাঞ্চলে সিকিম ও ঝাড়খণ্ডের ছ’টি জেলা রয়েছে। জানুয়ারি থেকেই ওই সব জেলায় এই প্রক্রিয়া শুরু করবে তেল সংস্থাগুলি। আধার নম্বর ও কার্ড তৈরির প্রক্রিয়ায় পিছিয়ে থাকায় এই তালিকায় আপাতত নেই পশ্চিমবঙ্গের কোনও জেলা। যদিও মার্চ থেকে রাজ্যের ৬টি জেলায় আধার কার্ডের মাধ্যমে সরকারি প্রকল্পের টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়া শুরু হচ্ছে বলে বৃহস্পতিবার কলকাতায় জানিয়েছেন ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর ডি সুব্বারাও।
এলপিজি ছাড়াও বিভিন্ন সরকারি আর্থিক সুবিধা সরাসরি গ্রাহককে তাঁর ব্যাঙ্কের মাধ্যমে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। তার আগেই অবশ্য এলপিজি-র ক্ষেত্রে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সে ক্ষেত্রে আধার নম্বরের ভিত্তিতে গ্রাহকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর নেবে তেল সংস্থাগুলি। সরকারি সূত্রের খবর, মহীশূর জেলায় প্রথমে এই প্রক্রিয়াটি পরীক্ষামূলক ভাবে চালু হয়। সাফল্য মেলায় প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে তা সম্প্রসারণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয় তেল সংস্থাগুলিকে। এপ্রিলের মধ্যে ওই ৫১টি জেলায় প্রথম দফার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে সেপ্টেম্বরের মধ্যে দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও কিছু জেলায় তা ছড়িয়ে দেওয়া হবে। ২০১৪-র ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের সর্বত্র তা চালু হয়ে যাওয়ার কথা।
ইন্ডিয়ান অয়েল সূত্রে খবর, সংস্থার পশ্চিমবঙ্গ শাখার অধীনে এ রাজ্য ছাড়াও সিকিম ও আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ রয়েছে। জানুয়ারি থেকে সিকিমের পূর্ব ও পশ্চিম জেলায় আধার নম্বরের ভিত্তিতে সরাসরি গ্রাহককে ভর্তুকি দেওয়া শুরু করবে তারা। আন্দামানের বাসিন্দাদের আধার কার্ড না-হওয়ায়, সেখানে গ্রাহকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর নেওয়া হবে।
ঝাড়খণ্ডের তিন জেলায় একই ভাবে গ্রাহকদের সিলিন্ডারে ভর্তুকি পৌঁছে দেবে ভারত পেট্রোলিয়াম।
হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়ামের পশ্চিমবঙ্গ শাখার অধীনে অসমও রয়েছে। সংস্থাটি অবশ্য জানিয়েছে, এ নিয়ে তারা এখনও কোনও নির্দেশ পায়নি।
পশ্চিমবঙ্গে আধার কার্ড বিলির প্রক্রিয়ার কী অবস্থা? রাজ্য জনগণনা দফতরের অধিকর্তা দীপক ঘোষ জানান, তাঁরা জনগণনার সঙ্গে সঙ্গে আধার নম্বর সংক্রান্ত তথ্যও (বায়োমেট্রিক) নিচ্ছেন। সবচেয়ে ভাল অবস্থা হাওড়ার। সেখানে প্রথম দফার কাজ প্রায় ৮০% শেষ। এর পর রয়েছে কলকাতা, হুগলি, কোচবিহারের মতো জেলা। আগামী মার্চের মধ্যে সর্বত্রই প্রথম দফার কাজ শেষ হওয়ার কথা। কেউ বাদ পড়লে দ্বিতীয় দফায় কাজ চলবে। গ্যাস সিলিন্ডারে ভর্তুকি সরাসরি দেওয়ার মতো বিষয়গুলি এখনও চূড়ান্ত হয়নি, জানান তিনি।
এ দিকে, একই ঠিকানায় একই পরিবারের একাধিক এলপিজি সংযোগ থাকলে একটি রেখে বাকিগুলি বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করেছে তেল সংস্থাগুলি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে খবর, সন্দেহজনক নামের তালিকা ধরে কেওয়াইসি সংক্রান্ত আবেদনপত্র চাওয়া হয়েছে। রাজ্যে ৩ তেল সংস্থার এই সংক্রান্ত তথ্য (নভেম্বর পর্যন্ত কেওয়াইসি ধরে) দেওয়া হল:
ইন্ডিয়ান অয়েল: গ্রাহক- ৫০ লক্ষ। সন্দেহভাজন- প্রায় ১২ লক্ষ। কেওয়াইসি দাখিল করেন ৭ লক্ষ।
হিন্দুস্থান পেট্রোলিয়াম: গ্রাহক-১৭ লক্ষ। সন্দেহভাজন-২.৮০ লক্ষ। কেওয়াইসি-৮৫ হাজার।
ভারত পেট্রোলিয়াম: গ্রাহক-১০ লক্ষ। সন্দেহভাজন-৪.১০ লক্ষ। কেওয়াইসি-১.৮০ লক্ষ। |
|
|
|
|
|