পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষা, নগরোন্নয়ন, পর্যটন, পরিকাঠামো নির্মাণের মতো সাতটি বিষয়ে ব্যবসায়িক সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে ইউকে ইন্ডিয়া বিজনেস কাউন্সিলের সঙ্গে দীর্ঘকালীন সহযোগী হিসেবে কাজ করবে রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগম। বৃহস্পতিবার এই ব্যাপারে একটি ‘অ্যাকসেপটেন্স’ চিঠি বা সম্মতিপত্র দেওয়া হয় কাউন্সিলের সিইও রিচার্ড হিল্ডের হাতে। হিল্ড মহাকরণে জানান, বেশ কিছু ক্ষেত্রে রাজ্যের সঙ্গে ব্রিটিশ ব্যবসায়ী সংস্থাগুলির যৌথ উদ্যোগ শুরু করারও সম্ভাবনা আছে। এ দিন দুপুরে কলকাতায় ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনার সঞ্জয় ওয়াধয়ানিকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন হিল্ড। বৈঠকে ছিলেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। পরে হিল্ড বলেন, “রাজ্যে ব্রিটেনের ব্যবসায়িক সম্ভাবনার উপরেই আমরা দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছি। সেই সম্ভাবনা এ রাজ্যের যথেষ্টই আছে বলে আমরা মনে করি।” সরকার এ ব্যাপারে ইতিবাচক ভূমিকা নিয়েছেন বলেও জানান তিনি। দু’পক্ষে কোন কোন কাজ কত দিনের মধ্যে করা হবে, তার জন্য এক বছরের ক্যালেন্ডার করা হচ্ছে। এই ব্যাপারে রাজ্যের মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্রের নেতৃত্বে একটি নজরদার কমিটি করা হয়েছে বলে জানান নগরোন্নয়ন মন্ত্রী। এর আগে লন্ডনে অর্থমন্ত্রী ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রীর সঙ্গে কাউন্সিলের কথা হয়েছে। অমিতবাবু জানান, ব্রিটেনের পাঁচ শতাধিক বাণিজ্যিক সংস্থা ওই কাউন্সিলের সদস্য। আগামী বছরের গোড়ায় পর্যটন, শিক্ষা, পরিকাঠামো নির্মাণ ইত্যাদি ক্ষেত্রের প্রতিনিধিদল নিয়ে ব্রিটেনের কয়েক জন মন্ত্রী কলকাতায় আসবেন।
|
বেসরকারি ক্ষেত্রে বাড়তি কয়লা উৎপাদনের পক্ষে কেন্দ্র |
দেশে কয়লার চাহিদা-জোগানের ফারাক ক্রমশ বাড়ছে। তা ঘোচাতেই কেন্দ্র চায় আরও বেশি বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে কয়লা উৎপাদন করাক কোল ইন্ডিয়া (সি আই এল)। দ্রুত এই ব্যবস্থা চালু করার জন্য দরপত্র প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করতে অর্থ মন্ত্রকের সাহায্য চেয়েছে কয়লা মন্ত্রক। জোগান বাড়াতে সিআইএল ‘মাইন ডেভেলপার্স অ্যান্ড অপারেটর্স’ (এম ডি ও) নীতির মাধ্যমে বেসরকারি সংস্থাকেও নিয়োগ করে। বৃহস্পতিবার বণিকসভা সিআইআই-এর গ্লোবাল মাইনিং সামিট-এ কেন্দ্রীয় কয়লা সচিব এস কে শ্রীবাস্তব এই নীতির আওতায় বেসরকারি ক্ষেত্রকে আরও বেশি করে কয়লা উৎপাদনে যুক্ত করার উপর জোর দেন। সে ক্ষেত্রে দরপত্র আরও বেশি আকর্ষণীয় করার ব্যাপারে বেসরকারি সংস্থাকে আগ্রহী করতে চাইছে কেন্দ্র। তাই দরপত্র প্রক্রিয়া উন্নত করতে অর্থ মন্ত্রকের সাহায্য নিচ্ছে কয়লা মন্ত্রক। তিনি বলেন, “অর্থ মন্ত্রকের দক্ষতা রয়েছে। এ জন্য বিশেষ বিভাগও রয়েছে।” এই ব্যবস্থা উন্নত হলে শুধু দেশি নয়, বিদেশি সংস্থাও এ ক্ষেত্রে পা রাখতে পারবে বলে দাবি তাঁর। শ্রীবাস্তব জানান, আপাতত ৩০টি কয়লা ব্লক থেকে বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে ২.৯ কোটি টন কয়লা উৎপাদন হচ্ছে। চলতি অর্থবর্ষে আরও চারটি ব্লক বেসরকারি হাতে দেওয়া হবে। সে ক্ষেত্রে এ বার সব মিলিয়ে কয়লা উৎপাদন দাঁড়াবে ৪.২ কোটি টন।
|
মলদ্বীপের পক্ষে রায় সিঙ্গাপুর সুপ্রিম কোর্টের |
মলদ্বীপ সরকারের সঙ্গে লড়াইয়ে বড় ধাক্কা খেল ভারতীয় পরিকাঠামো সংস্থা জিএমআর। বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুর সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে, মালে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে জিএমআর-এর মতো বেসরকারি সংস্থার হাত থেকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পূর্ণ অধিকার রয়েছে মলদ্বীপ সরকারের। মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ ওয়াহিদ-এর প্রেস সচিব মাসুদ ইমাদ এ কথা জানিয়ে বলেন, “বিমানবন্দরটি নির্দিষ্ট সময়ে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার জন্য এগোচ্ছে মলদ্বীপ। শীর্ষ আদালত বিষয়টিতে সায় দিয়েছে।” এ দিকে, ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র সৈয়দ আকবরউদ্দিন জানান, “আমরা ছাড়াও মালের ভারতীয় হাই কমিশন রায়টি খতিয়ে দেখছে। এর মধ্যে দু’টি বিষয় জড়িত। প্রথমটি রাষ্ট্রের সার্বভৌম অধিকার। দ্বিতীয়টি চুক্তি ও তার শর্ত নিয়ে আইনি বৈধতা, যেখানে রয়েছে জিএমআরের ক্ষতিপূরণ ইত্যাদি প্রশ্ন। দ্বিতীয়টি রায়ে ধরা পড়েনি।”
|
ক্যাসিওর ঘড়িতে ই-মেল অ্যালার্ট |
স্মার্ট ফোন নয়, স্মার্ট ঘড়ি। তৈরি করেছে ক্যাসিও। নাম ‘জি-শক জিবি৬৯০০ ব্লু-টুথ লো-এনার্জি স্মার্ট ওয়াচ’। ই-মেল অ্যালার্ট এবং মোবাইল কল অ্যালার্ট পাওয়া যাবে এই ঘড়িতে। এটি সম্ভব হবে ওই ঘড়ি ও গ্রাহকের মোবাইলের মধ্যে ব্লু-টুথ প্রযুক্তির সমন্বয়ে। ঘড়ির ছোট পর্দায় দেখতে পাওয়া যাবে ক্যালেন্ডার, আবহাওয়া এবং শেয়ার বাজারের খবরও। নির্মাতা সংস্থাটির দাবি, বহুমুখী ব্যবহার সত্ত্বেও এই ঘড়িতে ব্যাটারি খরচ হবে অত্যন্ত কম। গ্রাহক যদি দিনে ১২ ঘণ্টা ব্লু-টুথ সংযোগ চালু রাখেন, তা সত্ত্বেও এই ঘড়ির ব্যাটারি চলবে অন্তত দু’বছর। |