নিজস্ব সংবাদদাতা • বোলপুর |
বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে হামলা চালানো এবং তাঁকে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম দীপাঞ্জন দত্ত ওরফে বাবিন। বাড়ি সিউড়ির দত্তপুকুর পাড়ায়। বৃহস্পতিবার ধৃতকে বোলপুর মহকুমা আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক চারদিন পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
এ দিকে, ধৃতের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে মত পার্থক্য দেখা দিয়েছে। অনুব্রতবাবুর দাবি, “দীপাঞ্জনবাবু কোনও কালে আমাদের দলের কর্মী ছিলেন বলে জানি না।” যদিও ভিন্ন সুর শোনা গিয়েছে অনুব্রতবাবুর বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা হিসেবে পরিচিত সিউড়ির তৃণমূল বিধায়ক স্বপনকান্তি ঘোষের গলায়। স্বপনবাবু বলেন, “দীপাঞ্জনবাবু আমাদের দীর্ঘদিনের কর্মী একথা সত্যি। কিন্তু বুধবার রাতে কী ঘটেছিল খোঁজ না নিয়ে বলতে পারব না।”
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঠিকাদারি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত দীপাঞ্জনবাবু বুধবার রাত ১২টা নাগাদ একটি গাড়িতে জনা সাতেক সঙ্গীকে নিয়ে অনুব্রতবাবুর বোলপুরের নীচুপট্টির বাড়িতে পৌঁছন বলে অভিযোগ। থানায় করা অভিযোগে আরও উল্লেখ রয়েছে, ধৃত ওই ব্যক্তি ঘরে ঢুকতে চাইলে নিরাপত্তারক্ষীরা জানান, অনুব্রতবাবু এখন ঘুমোচ্ছেন দেখা করা যাবে না। এই শুনে দীপাঞ্জনবাবু হুমকি দেন এবং ঘরের দরজা ঠেলাঠেলি শুরু করেন বলে অভিযোগ। তার পরেই নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেন বলে পুলিশের দাবি।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, জেলা সভাপতি অনুব্রতবাবুর গোষ্ঠীর লোকেদের সঙ্গে ঠিকাদারি সংক্রান্ত বিবাদ রয়েছে ধৃতের। যদিও অনুব্রতবাবু দাবি করেন, “ঠিকাদারি বিবাদের কথা জানা নেই। তবে তিনি মদ্যপ অবস্থায় আমার বাড়িতে হামলা চালান।” সরকারি আইনজীবী ফিরোজকুমার পাল জানান, দীপাঞ্জনবাবু-সহ সাতজনের নামে অভিযোগ হয়েছে। পুলিশ জানায়, ধৃতকে জেরা করে বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। |