এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হল রেল লাইনের পাশ থেকে। পর দিনই বাড়ি থেকে মিলল ওই যুবকের ‘প্রেমিকা’র ঝুলন্ত দেহ। সিউড়ি শহরের ঘটনা।
বুধবার রাত ৮টা নাগাদ সিউড়ি স্টেশন থেকে এক কিমি দূরে রেললাইনের পাশেই মেলে অজয় মাল (১৮) নামে এক যুবকের দেহ। তাঁর বাড়ি সিউড়ির ডাঙালপাড়ায়। সিউড়ি জিআরপি থানার ওসি গোপাল গঙ্গোপাধ্যায় জানান, সিউড়ি স্টেশন থেকে খবর আসে আবদারপুর রেলগেটের কাছে আপ সাঁইথিয়া-অন্ডাল প্যাসেঞ্জার থেকে এক যুবক ঝাঁপ দিয়েছেন। রেলপুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, অজয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল সিউড়ির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা, একাদশ শ্রেণির ছাত্রী সৌমি দাসের (১৬)। দুই পরিবারের লোকেরাও সে কথা পুলিশকে জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে নিজের বাড়িতেই সিলিং ফ্যানে ওড়নার ফাঁস লাগানো অবস্থায় সৌমির দেহ মেলে। তার হাতের শিরাও কাটা ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, দু’মাস আগে সৌমিকে নিয়ে অজয় পালিয়েছিলেন। সৌমির পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তখন অজয়কে গ্রেফতার করে। অপহরণের মামলায় এতদিন জেল হাজতে কাটানোর পর গত ২২ নভেম্বর জামিন পান অজয়। তার বাবা পেশায় রিকশাচালক ভৈরব মাল বলেন, “রেলপুলিশ জানিয়েছে, অজয় ট্রেন থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু তা নিয়ে আমাদের সংশয় আছে।” আর সৌমির বাবা, পেশায় সিউড়ি পুরসভার কর্মী মহিমারঞ্জন দাসের অভিযোগ, “অজয়ের উৎপাতে ডাঙালপাড়ার বাড়ি বিক্রি করে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের এই ভাড়াবাড়িতে চলে এসেছিলাম। তাতেও শেষরক্ষা হল না। একমাত্র সন্তানকে হারালাম।”
বৃহস্পতিবার অল্প সময়ের ব্যবধানে অজয়-সৌমির মৃতদেহ ময়না-তদন্তের জন্য পৌঁছয় সিউড়ি সদর হাসপাতালে। রেল পুলিশ ও সিউড়ি থানা প্রত্যকেই অস্বভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে। |