সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বেআইনি ভাবে আমানত সংগ্রহের অভিযোগে ‘প্রণবানন্দ কো-অপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটি’র কাটোয়া শাখা থেকে গ্রেফতার করা হল দুই মহিলা-সহ ১২ জন কর্মীকে। বৃহস্পতিবার বিকেলে তাঁদের ধরেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এ দিন সকালে কাটোয়ার অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রার অফ কো-অপারেটিভ সোসাইটি (এআরসিএস) প্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায় থানায় অভিযোগ করেন, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অনুমতি ছাড়াই ওই ঋণ সমবায় আমানত সংগ্রহ করছে। জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা বলেন, “এ দিন দুপুরে কাটোয়ার কাছারি রোডের গাঁধী মার্কেটে পুলিশ ওই ঋণ সমবায়ের দফতরে হানা দেয়। তার পরে ১২ কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।” গত ৩০ নভেম্বর বর্ধমান থানায় ওই সমবায়ের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ভাস্কর মুখোপাধ্যায়-সহ বেশ কয়েক জনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ওই ঋণ সমবায়ের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ভাস্করবাবু ও নির্বাহী আধিকারিক কৃষ্ণেন্দু বেদীর বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে বেআইনি ভাবে টাকা তোলার প্রচুর অভিযোগ রয়েছে। তাঁরা জেল হেফাজতেও ছিলেন। জামিনে মুক্তি পাওয়ার পরে চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি ‘প্রণবানন্দ কো-অপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটি’ নামে ফের বর্ধমান জেলায় শাখা খোলেন। কাটোয়ার এআরসিএস পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, ওই ঋণ সমবায় ১৯৮৫-এর ৩০ এপ্রিল খোলা হয়েছিল। বেশ কয়েক বছর ধরে আমানত সংগ্রহ করে। কিন্তু সেই আমানত ফেরত দিতে পারেনি বলে ২০০২ সালের ৬ অগস্ট ওই সমবায়কে দেউলিয়া ঘোষণা করা হয়। সে কারণে ওই সমবায়ের সমস্ত কাগজপত্র বাজেয়াপ্ত করে বরখাস্ত করা হয়।
পুলিশ জানায়, ওই ঋণ সমবায়ের রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে ফের আমানত সংগ্রহ করা হচ্ছিল বলে এআরসিএস জানিয়েছেন। এই অভিযোগ পাওয়ার পরে পুলিশ কাটোয়ার গাঁধী মার্কেট ও দাঁইহাট বাজারে সমবায়ের অফিসে হানা দেয়। কাটোয়া থেকে ১২ জনকে গ্রেফতার করা হলেও দাঁইহাটে অফিস তালাবন্ধ দেখে ফিরে আসে পুলিশ। ধৃতেরা হলেন কাটোয়ার শ্যামসুন্দর চৌধুরী, বিভাসরঞ্জন দত্ত, প্রবীরকুমার রায়, মলয় মুখোপাধ্যায়, আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, শেখ নজরুল ইসলাম, আশিসকুমার ঘোষাল, চম্পা চৌধুরী, মঙ্গলকোটের অরুণ পাল, কেতুগ্রামের শ্যামল বন্দ্যোপাধ্যায় ও নদিয়ার কালীগঞ্জের রিনা ভৌমিক চক্রবর্তী। |