|
|
|
|
হুল্লোড় |
বাপি সিনেমায় যা |
সৌরভের স্টেপ আউট। বাঁ হাতি স্পিনার থেকে সোজা এ বার সেলুলয়েডে। লিখছেন ইন্দ্রনীল রায় |
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় রিটায়ার করেছেন চার বছর আগে।
তাতে কী?
আজও ধোনিকে কমেন্ট্রি বক্সে সমালোচনা করলে বাঙালি ড্রইং রুমে বসে সৌরভকে ভালবেসে চেঁচিয়ে বলে ‘বাপি বাড়ি যা’। আজও প্রণব মুখোপাধ্যায়ের রাষ্ট্রপতি হওয়ার খবর পেলে বাঙালি সমস্বরে বলে ওঠে ‘বাপি বাড়ি যা’।
আজ ‘২২শে শ্রাবণ’-এ প্রসেনজিৎ শিভাস রিগাল খেতে খেতে গালাগালি দিলে বাঙালি বলে, “প্রসেনজিৎ কিন্তু ‘বাপি বাড়ি যা’ করে দিল সবার।”
বাঙালি মননে গত দশ বছর যে প্রবাদ কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ড্রইং রুমে পৌঁছে গিয়েছে সেটা ‘বাপি বাড়ি যা’। শুধু বাঙালি মননে কেন? মুম্বইয়্রের মরাঠি মহলেও সৌরভের ‘বাপি বাড়ি যা’ সমান জনপ্রিয়। শোনা যায় দিলীপ বেঙ্গসরকর-রবি শাস্ত্রীও ‘বাপি বাড়ি যা’তে মগ্ন। চ্যাপেলের সঙ্গে সৌরভের ঝামেলার সময়ও শোনা যায় তাঁরা গ্রেগ চ্যাপেলকে ‘বাপি’ বানিয়ে সৌরভকে প্রায়ই জিজ্ঞাসা করতেন বাপি কবে বাড়ি যাবে। এমনকী গ্রেগ চ্যাপেল চলে যাওয়ার পর বেঙ্গসরকর মশকরা করে বলতেন, বাপি বাড়ি চলে গেছে। |
|
অর্জুন আর মিমি |
কিন্তু কী এই ‘বাপি বাড়ি যা’?
শোনা যায়, বলকে বাপি নামে ডাকতেন সৌরভ। বাঁ হাতি স্পিনারকে স্টেপ আউট করে ছয় মারলে, এটাই ছিল তাঁর ওয়ার ক্রাই। ‘বাপি বাড়ি যা’। এ বার সেই টাইটেল নিয়েই আজকে মুক্তি পাচ্ছে অভিজিৎ-সুদেষ্ণা পরিচালিত ‘বাপি বাড়ি যা।’ ছবিতে অভিনয় করেছেন সুপারহিট টেলিভিশন সিরিয়াল, “গানের ওপারে’র ছেলেমেয়েরা। ‘গোরা’ ও ‘পুপে’।
ছবিটির প্রযোজক প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
“‘বাপি বাড়ি যা’ নামটা সেই ২০০৩-য়ে বিশ্বকাপে গ্রুপ লিগ ম্যাচে কেনিয়ার বিরুদ্ধে সৌরভের ছয় মারার পর থেকেই লোকে জেনেছে। সৌজন্যে আনন্দবাজার পত্রিকা। লিখেছিলেন সাংবাদিক গৌতম ভট্টাচার্য। এতই জনপ্রিয় এই ফ্রেজটা নতুন প্রজন্মের কাছে যে আমরা তাঁদের নিয়ে বানানো গল্পে এই টাইটেলটাই ব্যবহার করলাম,” জানাচ্ছেন প্রযোজক প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। যিনি প্রায় আঠাশ দিন নিউক্যাসেলে শ্যুটিং করে সোমবার দেশে ফিরেছেন।
‘বাপি বাড়ি যা’ আর একটি কারণেও টলিউডের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এটা টলিউডে প্রথম যেখানে এক জন ফিল্ম বানিয়ে একটি সংস্থাকে বিক্রি করে দিচ্ছেন ‘টার্ন-কি’ প্রোজেক্টের মতো। সেই সংস্থা তার পর ছবিটা রিলিজের প্ল্যান, তার প্রোমোশনের দায়িত্ব নিয়ে নেয়। হলিউডে হয়েই থাকে, মুম্বইতেও এখন এই ফরম্যাটে সর্বদাই কাজ হচ্ছে। |
|
সৌরভের ‘বাপি বাড়ি যা’ শট। কেনিয়ার বিরুদ্ধে কেপ টাউন-এ। ২০০৩ বিশ্বকাপে |
‘বাপি বাড়ি যা’ টলিউডের প্রথম ছবি যেখানে এই ফর্ম্যাট ব্যবহার করা হয়েছে। “প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ছবি প্রোডিউস করেছেন। ছবিটার কনটেন্টের ওপর আমাদের হাত নেই। কিন্তু শ্যুটিং হওয়ার পরে আমরা কিনে নিয়েছি। এখন মার্কেটিং ইত্যাদির দায়িত্বে ভেঙ্কটেশ ফিল্মস,” বলছেন সেই সংস্থার কর্ণধার মহেন্দ্র সোনি। ফিল্মের আরেকটা হাইলাইট অবশ্যই অর্জুন ও মিমি চক্রবর্তী। ‘গানের ওপারে’তে তাঁদের কেমিস্ট্রি নিয়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল সর্বত্র। “মিমি আর গৌরবের কেমিস্ট্রিটা অসম্ভব ভাল। সেটা ‘গানের ওপারে’তে দেখেই নিয়েছি,” বলছিলেন সুদেষ্ণা রায়।
এ বার দেখার, জেন ওয়াইদের মধ্যে অসম্ভব জনপ্রিয় জুটি বড় পর্দায় কী করেন? বাঁ হাতি স্পিনারকে লিফট্ করতে পারেন কি না! |
|
|
|
|
|