নিচু তলায় বৈঠক করে ঠিক করা হবে বাম প্রার্থী |
বাম আমলে পঞ্চায়েত ভোটে উপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া শরিকি ঐক্য নিচুতলায় কার্যকর না হওয়াই দস্তুর ছিল। এ থেকে শিক্ষা নিয়ে এ বার নিচুতলায় আলোচনার ভিত্তিতে প্রার্থী ঠিক করার উপরে জোর দিচ্ছে বামেরা। মঙ্গলবার বামফ্রন্টের বৈঠকে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকের পরে বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, “পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রে স্থানীয় ভাবে গ্রহণযোগ্য প্রার্থী ঠিক করতে হবে। জেলায় ব্লক ও মহকুমা স্তরে বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে বৈঠক করে প্রার্থী ঠিক করতে হবে। সেক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা হলে তখন জেলা বামফ্রন্ট দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বসবে।” ২০০৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রায় ৬ হাজার আসনে বামফ্রন্টের মধ্যে ঐক্য হয়নি। সামগ্রিক ভাবে তার খেসারত দিতে হয়েছিল ফ্রন্টকে। মূলত বড় শরিক সিপিএমের সঙ্গে আরএসপি, সোস্যালিস্ট পার্টি (বর্তমানে কিরণময় নন্দের সমাজবাদী পার্টি) এবং ফরওয়ার্ড ব্লকের ঐক্য হয়নি বহু আসনেই। এ বার যাতে সেই পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়, তারজন্য বিমানবাবুরা আগাম উদ্যোগ নিয়েছেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী, গোসাবার কোনও দিনই পঞ্চায়েত ভোটে আরএসপির সঙ্গে ঐক্য হয়নি সিপিএমের। বামফ্রন্টের বৈঠকে উপস্থিত আরএসপি নেতা মনোজ ভট্টাচার্য বলেন, “আশা করছি এ বার সিপিএম আমাদের কথা শুনবে। কারণ পরিস্থিতি অন্য বারের তুলনায় ভিন্ন।” বৈঠকে ঠিক হয়েছে, গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি স্তরে যেখানে যে দলের শক্তি বেশি সেই দল প্রার্থী দেবে। তবে, প্রত্যেক শরিক দলই যাতে প্রার্থী দেওয়ায় সুযোগ পায়, তা-ও দেখা হবে। ভোটে জেতার পরে যাতে কাজ করতে পারেন, তার জন্য প্রার্থীদের বয়সের দিকেও নজর দিতে বলা হয়েছে। বাম নেতারা মনে করেন, এপ্রিলের আগে পঞ্চায়েত ভোট করা সম্ভব নয়। কিন্তু রাজ্য সরকারের তোড়জোর দেখে বাম নেতাদের একাংশ মনে করেন, পঞ্চায়েত ভোট এগোতেও পারে।
|
এডিবি থেকে রাজ্য ঋণ নিচ্ছে ২১৬০ কোটি |
বেহাল আর্থিক দশা ঘোচাতে এশীয় উন্নয়ন ব্যাঙ্ক (এডিবি)-এর কাছ থেকে ৪০০ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ২১৬০ কোটি টাকা ঋণ নিচ্ছে রাজ্য সরকার। গত অগস্টে ১৫ বছর মেয়াদি ওই ঋণ অনুমোদন করেছে এডিবি। আজ, বুধবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিষয়টি অনুমোদনের জন্য পেশ করা হচ্ছে। মহাকরণের খবর, রাজ্যের উন্নয়ন দীর্ঘস্থায়ী করতেই সরকার এই ঋণ নিচ্ছে। তা ছাড়া রাজস্ব সমন্বয় প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করে তা প্রসারিত করাও ঋণ নেওয়ার অন্যতম লক্ষ্য। এতে রাজস্ব আয় ও ব্যয়ের মধ্যে সমতা রক্ষা করা যাবে। এই কাজ সফল ভাবে করতে পারলে রাজ্যের রাজস্ব সঞ্চয় বাড়বে। ঋণের শর্ত হল, প্রথম তিন বছরে ওই টাকার উপরে রাজ্য সরকারকে কোনও সুদ দিতে হবে না। পরবর্তী বছর থেকে স্বল্প সুদ গুনতে হবে। সর্বোচ্চ সুদের হার হবে ৭%।
|
কর্পোরেট বাসে ভাড়া-প্রস্তাব |
কর্পোরেট বাসের ভাড়া কী হতে পারে, ইচ্ছুক সংস্থার কাছ থেকে তার প্রস্তাব চাইল রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার মহাকরণে ইচ্ছুক কর্পোরেট সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠকে ভাড়ার তালিকা ও রুটের প্রস্তাব দিতে বলেছেন পরিবহণসচিব। সরকার বলেছিল, কর্পোরেট বাসের ভাড়া সাধারণ বাসের মতোই হবে এবং রাজ্যই তা নির্ধারণ করবে। তাতে বেশির ভাগ সংস্থা বেঁকে বসে। তার পর সরকার কর্পোরেট বাসে আলাদা ভাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কর্পোরেট সংস্থাগুলির প্রস্তাব পাওয়ার পরেই পরিবহণ মন্ত্রিগোষ্ঠী ভাড়া চূড়ান্ত করবে।
|
কৃষিকাজে জল দিতে ‘শ্যালো’ বা অগভীর নলকূপ-পাম্প বসানোর জন্য বিদ্যুৎ-সংযোগ নিতে রাজ্য সরকার কৃষকদের আট হাজার টাকা করে দেবে বলে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মহাকরণ সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষিত ভর্তুকির টাকা রাজ্যের নিজস্ব কোষাগার থেকে দিতে হবে না। কেন্দ্রীয় সরকারের রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনা তহবিল থেকেই ভর্তুকির অর্থ পাওয়া যাবে। |