নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
শোভনদেব-কান্ডে সঙ্কটমোচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরই ভরসা করছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া সফর শেষে মঙ্গলবারই কলকাতায় ফিরেছেন মমতা। আজ, বুধবার বা কাল বৃহস্পতিবারের মধ্যে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে ডেকে তিনি কথা বলতে পারেন। তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের আশা, বর্ষীয়ান নেতা শোভনদেববাবুকে নেত্রী ডেকে কথা বললেই সঙ্কট মিটতে পারে। তৃণমূলের এক প্রথম সারির নেতা অবশ্য মনে করেন, বৈঠকের পাশাপাশি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী সংগঠনের নেতা মন্মথ বিশ্বাসকেও শোভনদেববাবুর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। গত ২৭ নভেম্বর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে শোভনদেববাবু অপমানিত ও লাঞ্ছিত হন। সেই ঘটনায় মূল অভিযোগ উঠেছে মন্মথবাবুর বিরুদ্ধেই।
তৃণমূলে শ্রমিক সংগঠনে (আইএনটিটিইউসি) শোভনদেববাবুর অনুগামীরা অবশ্য প্রশ্ন তুলেছেন, তাঁদের নেতাকে অপমান করার পরেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দল কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না? আইএনটিটিইউসি-র এক নেতা এমনও মন্তব্য করেন, “তাহলে কী ধরে নেব অভিযুক্তর পিছনে বড় মাথা আছে। সেই কারণেই দলীয় স্তরে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে টালবাহানা করছে!” তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব অবশ্য বিষয়টি নিয়ে কুলুপ এঁটেছেন। শোভনদেব ছাড়াও দলে রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, শিখা মিত্র বা শিউলি সাহা সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খোলায় দলের অন্দরের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে সংগঠনকে শৃঙ্খলাবদ্ধ রাখতে ও অস্বস্তিকর পরিস্থিতি এড়াতে সোমবারই এসএমএস করে দলীয় বিধায়কদের বৈদ্যুতিনমাধ্যমে মুখ না খোলার জন্য ফতোয়া জারি করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু ফতোয়া নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে দলের ভিতরেই। দলে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নেতৃত্ব যে কড়া মনোভাব নিচ্ছেন দলের মহাসচিব ও মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্যেই স্পষ্ট হয়েছে। তিনি বলেন, “পরিষদীয় মন্ত্রী হিসাবে দলীয় বিধায়কদের ওই এসএমএস পাঠিয়েছি। যিনি সাড়া দেবেন না, তিনি তাৎপর্য বুঝে নেবেন।” তবে এই ফতোয়া দলের অন্দরে অস্বস্তি মেটাতে কতটা কাজে লাগবে তা নিয়ে সংশয় আছে দলের অনেক বিধায়ক ও নেতার। এক বিধায়কের কথায়, “এতে হিতে বিপরীত হবে না তো!” |