টুকরো খবর
এ কে রাইফেল নিয়ে হামলা, মৃত ১ গন্ডার
প্রাণী সুরক্ষা ও সংরক্ষণ নিয়ে আন্তর্জাতিক সমাবেশের দিনেই কাজিরাঙায় ফের গন্ডার হত্যা করল শিকারিরা। এ বারেও গন্ডার হত্যার কাজে ব্যবহৃত হল এ কে সিরিজের অ্যাসল্ট রাইফেল। কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান সূত্রে খবর, গত কাল সন্ধ্যায় প্রথম দফায় বুড়াপাহাড় রেঞ্জে শিকারিদের উপস্থিতি আন্দাজ করেন বনরক্ষীরা। তাঁরা কয়েক রাউন্ড গুলিও চালান। এরপর রাত আড়াইটে নাগাদ আবারও একাধিক গুলির শব্দ পায় তারা। বনরক্ষীরা অভিযান চালালে দু’পক্ষে গুলির লড়াই শুরু হয়। পরে চোরাশিকারিরা পালায়। নগাঁওয়ের এসপি বিবেক রাজ সিংহ জানান, শিকারিদের কাছে একে সিরিজের রাইফেল ছাড়াও একটি .৩০৩ ও একটি দোনলা বন্দুক ছিল। ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ তিন ধরণের আগ্নেয়াস্ত্রেরই কার্তুজ উদ্ধার করেছে। কাজিরাঙার অধিকর্তা এন কে ভাসু বলেন, “আজ সকালে পুরুষ গন্ডারটির মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তবে বনরক্ষীরা সময় মতো হাজির হওয়ায় শিকারিরা খড়্গটি কেটে নিয়ে যেতে পারেনি।” এর আগে, গত ২১ নভেম্বর বুড়াপাহাড়ের কুকরাকাটায় গন্ডার মেরেছিল শিকারিরা। সে বারেও একে সিরিজের রাইফেল ব্যবহৃত হয়। পুলিশের সন্দেহ, দু’টি ঘটনার পিছনে একই দলের হাত রয়েছে। আগেও, শিকারি ও জঙ্গি যোগাযোগের প্রমাণ পুলিশ পেয়েছে। উল্লেখ্য, গত কাল কাজিরাঙা পশু উদ্ধার ও সংরক্ষণ কেন্দ্রের ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দেশ ও বিদেশের বহু বিশেষজ্ঞ ও পশুপ্রেমী কাজিরাঙায় হাজির হন। নিরাপত্তার আশ্বাস দেন রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল সুরেশ চাঁদ। কিন্তু তাঁরা কাজিরাঙা ছাড়ার আগেই শিকারিরা আঘাত হানল।

কাশীপুর শ্মশানে দূষণমুক্ত চুল্লি
সেই চুল্লি। নিজস্ব চিত্র
দূষণমুক্ত কাঠের চুল্লি চালু হল কাশীপুর শ্মশানঘাটে। এতে কাঠের চুল্লির ধোঁয়া চিমনির মাধ্যমে প্রায় ৪০ ফুট উপর দিয়ে চলে যাবে। কলকাতা পুরসভার উদ্যোগে মঙ্গলবার কাশীপুর শ্মশানে এমন দু’টি চুল্লির উদ্বোধন করেন মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ। শহরে পুরসভার নিয়ন্ত্রণে সাতটি শ্মশান আছে। এর পাঁচটিতে কাঠের চুল্লি আছে। অতীনবাবু বলেন, “কাঠের চুল্লিতে দাহ করার সময়ে ধোঁয়ায় প্রচণ্ড অসুবিধা হয় এলাকাবাসীদের। স্থানীয়দের স্বাস্থ্যের কথা ভেবেই দূষণ মুক্ত চুল্লির ব্যবস্থা করা হল।” তিনি জানান, অনেকেই কাঠের চুল্লিতে তাঁদের আত্মীয়স্বজনের দেহ দাহ করতে চান। তাই পুরনো কাঠের চুল্লি বন্ধ না করে এই ব্যবস্থা নেওয়া হল।

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হাতির মৃত্যু
বিদ্যুৎবাহী তারের সংস্পর্শে এসে মারা গেল দু’টি হাতি। ঘটনাটি ঘটেছে অসমের গোলাঘাটে। পুলিশ জানায়, থোড়ামুখ এলাকায় হাতির পাল ধানখেত পার হচ্ছিল। তখনই নিচু হয়ে থাকা বিদ্যুৎবাহী তারের সংস্পর্শে এসে তড়িদাহত হয় দু’টি পুরুষ হাতি। ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। এ দিকে, হাতির পায়ের চাপে ফসলের বিস্তর ক্ষতি হওয়ায় গ্রামবাসীরা দাবি জানান, ক্ষতিপূরণ না মিললে হাতি দু’টির দেহ বন বিভাগের হাতে তুলে দেওয়া হবে না। এই এলাকায় স্থায়ী রক্ষী শিবির বসানোর দাবিও তারা জানায়। পরে পুলিশ ও বনকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। আশ্বাস পেয়ে অবরোধ ওঠে।

এই গন্ধগোকুলটিকে খাঁচাবন্দি করে বন দফতরের হাতে দেন কিছু বাসিন্দা।
মঙ্গলবার আরামবাগের দৌলতপুরের মোহন দাসের ছবি।

দুই বন্ধুর খুনসুটি। কাজিরাঙার পুনর্বাসন কেন্দ্রে অনাথ হস্তি-শাবক,
ফিলিপ ও নুনাই। রাজীবাক্ষ রক্ষিতের তোলা ছবি।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.