চারদিন ধরে বৃদ্ধার মৃতদেহ বাড়িতে রেখে দিয়েছিলেন আত্মীয়েরা। বৃদ্ধার ইচ্ছে ছিল, মুখাগ্নি করবে ছেলে। যদিও সেই ছেলে জেল হাজতে। এই পরিস্থিতিতে মায়ের শেষকৃত্যে যেতে পারেননি চন্দননগরের গোন্দলপাড়ার রাধানাথ সিকদার রোডের মিল লাইনের বাসিন্দা রাজেশ চৌধুরী। তাঁর পারিবারিক সূত্রের খবর, রাজেশের মা বছর সত্তরের ফুলিয়া চৌধুরী বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান গত শনিবার সন্ধ্যায়। এলাকার এক যুবককে খুনের ঘটনার জড়িত সন্দেহে ২০১১ সালের ১৪ই এপ্রিল গ্রেফতার করা হয় রাজেশকে। সেই মামলা এখনও চলছে। গত শনিবার বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান তাঁর মা ফুলিয়াদেবী। পরিবারের লোকজন মুখাগ্নির কাজে রাজেশের উপস্থিতি চেয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হন। মহকুমাশাসক থেকে শুরু করে জেল সুপার, আইনজীবি, আই জি (কারা) সকলের কাছেই আবেদন করেন। কিন্তু আর্জিতে সাড়া দেয়নি কেউ। অবশেষে মঙ্গলবার দুপুরে চন্দননগর আদালতে শুনানির জন্য নিয়ে আসা রাজেশকে তার মায়ের মৃতদেহ দূর থেকে দেখিয়ে নিয়ে যায় পরিবারের লোকজন। রাজেশের সম্পর্কিত দাদা অশোক চৌধুরী বলেন, “আমরা চেয়েছিলাম পুলিশি ঘেরাটোপেই রাজেশকে এক বার তার মৃত মাকে শেষ দেখা দেখতে দিক প্রশাসন। সকলের কাছে দরবার করেও রাজেশের মায়ের শেষ ইচ্ছা পূরণ হল না।” চন্দনগরের মহকুমাশাসক বিশ্বনাথ বলেন, “আমাকে ব্যাপারটি জানানো হয়েছিল। এ বিষয়ে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে আলোচনা করছিলাম। তিনি জানান বিষয়টি সম্পূর্ণ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনস্থ। তা ছাড়া, দেখা করার ব্যাপারটি আই জি (কারা)-র হাতে।” আইজি (কারা) রণবীর কুমার বলেন, “সাধারণত খুনের অভিযোগে ধৃতদের এ ভাবে হঠাৎ করে বাড়ির লোকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেওয়া হয় না। তবে ওঁরা যদি আদালতের দ্বারস্থ হয়ে অনুমতি পেতেন, তা হলে আমাদের তরফে ব্যবস্থা করা যেত।”
|
বহু আলোচনার পরে অবশেষে জট কাটল। দীর্ঘ আট মাস বন্ধ থাকার পরে আজ, বুধবার ফের খুলছে রিষড়ার হেস্টিংস জুটমিল। মূলত শ্রমিক অসন্তোষের কারণ দেখিয়ে কর্তৃপক্ষ মিল বন্ধ করেছিলেন। চুক্তি নিয়েও কিছু সমস্যা ছিল। প্রশাসন সূত্রের খবর, প্রথমে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ হবে। আগামী ৮ ডিসেম্বর থেকে উৎপাদন শুরু হবে। মঙ্গলবার মিলের ১১টি শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা মিল গেটে সভা করে। উৎপাদন শুরুর ক্ষেত্রে একটি ‘মনিটারিং কমিটি’ তৈরি হয়েছে। তাতে শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধি ছাড়াও স্থানীয় বিধায়ক ও শ্রম দফতরের আধিকারিকেরা থাকবেন। মঙ্গলবার সভায় উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক সুদীপ্ত রায় এবং জেলা আইএনটিটিইউসি নেতা বিদ্যুৎ রাউত-সহ একাধিক নেতা।
|
সিপিএম এবং কংগ্রেসের পরে এ বার পিডিএসের দ্বারস্থ হলেন বালির নিহত পরিবেশ কর্মী তথা তৃণমূল নেতা তপন দত্তের স্ত্রী প্রতিমা দত্ত। পিডিএস দফতরে গিয়ে মঙ্গলবার দলের রাজ্য সভাপতি সৈফুদ্দিন চৌধুরীর কাছে প্রতিমাদেবী অভিযোগ করেছেন, তপনবাবুর খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্ত দাবি করার পর থেকেই তাঁরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। প্রশাসন দোষীদের শাস্তি বা তাঁদের নিরাপত্তা, কোনওটারই যথাযথ ব্যবস্থা করছে না। |