সোমবার মুম্বইয়ের মাটিতে পা রেখেছিলেন। আর চব্বিশ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই পৌঁছে গেলেন সিদ্ধিবিনায়কের মন্দিরে। ভক্তি ভরে পুজো দিলেন। বেশ খুশি খুশিই শোনাল প্যারিস হিলটনকে। পুজো দেওয়ার পরেই তাঁর উচ্ছ্বসিত মন্তব্য, “এই ধরনের জায়গায় এসে অসাধারণ লাগল। মনে হচ্ছে, সত্যিই আশীর্বাদ পেলাম।” হলিউড সুন্দরীর মুখে সিদ্ধিদাতার গুণগান শুনে হতভম্ব আম মুম্বইকর। |
অথচ গত এক দিনের কর্মকাণ্ড ‘রিওয়াইন্ড’ করলে দেখা যাবে, বাণিজ্যনগরীতে পা দেওয়া সত্ত্বেও প্রায় কখনওই ‘বাণিজ্যিক’ বুলি কপচাননি প্যারিস। কাল বেশ সকালে মুম্বইয়ে তাঁর বিমান এসে পৌঁছয়। যদিও সেই লম্বা বিমানযাত্রার ক্লান্তিকে পাত্তা দেননি তিনি। সটান পৌঁছেছেন খেলনার দোকানে। কিনেছেন অঢেল খেলনা। আর তার পরেই হাজির হয়েছেন এক অনাথ আশ্রমে। সেই উপহার শিশুদের মধ্যে বিলিয়েছেন। তবে সব চেয়ে বড় চমকটা দিয়েছেন একটু পরে। ‘ছম্মক ছল্লো’ গানের সঙ্গে নেচে মাতিয়ে দিয়েছেন শিশু-সহ সক্কলকে। তখন দেখে বোঝার উপায় নেই ইনিই সেই মহিলা যিনি কেলেঙ্কারিকে ইউএসপি করে সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে আসেন।
এ বার অবশ্য মুম্বইয়ে এসেছেন মূলত এক ফ্যাশন শোয়ে যোগ দিতে। সেই ব্যস্ততার ফাঁকেই অনাথ আশ্রমে যাওয়া। শিশুদের আনন্দে দেখে বলে ওঠা, “ওদের হাসিমুখ দেখে মনটা ভরে গেল।” সেই চাপের মধ্যেই সিদ্ধিবিনায়ক দর্শন। আর সেই দেখেই অবাক সবাই। আদ্যন্ত ব্যবসায়িক আবহে বেড়ে ওঠা হোটেল সম্রাজ্ঞী প্যারিস হিলটন বাণিজ্যনগরীতে পৌঁছেও কী ভাবে যেন মাটির পৃথিবীতেই আনাগোনা করলেন।
অর্থ বা অনর্থ কিছুরই ধারকাছ মাড়ালেন না। শুধু আনন্দ করলেন, আর আনন্দ দিলেনও।
আর এ ভাবেই জিতে নিলেন বাণিজ্যনগরীর হৃদয়। |