নরওয়ে-কাণ্ড
জেল হল ভারতীয় দম্পতির
সাত বছরের শিশু-সন্তান সাই শ্রীরামকে ভয় দেখানোর অপরাধে শেষমেষ জেলই হল হায়দরাবাদের অনাবাসী ভারতীয় দম্পতি চন্দ্রশেখর ও অনুপমা বল্লভানেনির। মঙ্গলবার এই রায় ঘোষণা করল অসলোর এক নিম্ন আদালত। সন্তানের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করার অপরাধে যথাক্রমে ১৮ ও ১৫ মাসের জেল হল বাবা চন্দ্রশেখর ও মা অনুপমার। আদালতের এই রায়কে সমর্থন করে সরকার পক্ষের আইনজীবী কার্ল লির জানান ওই শিশু, সাই শ্রীরামের গায়ে ছিল প্রচুর ক্ষতচিহ্ন। বেল্ট দিয়ে মারার ও পোড়া দাগও ছিল তার গায়ে।
বছর দেড়েক আগে স্ত্রী অনুপমা ও দুই ছেলেকে নিয়ে অসলোয় আসেন পেশায় ইঞ্জিনিয়ার চন্দ্রশেখর বল্লভানেনি। চলতি বছরের গোড়ার দিকের ঘটনা। সাই শ্রীরাম প্যান্টে প্রস্রাব করে ফেলায় বাবা-মা বকাবকি করেন। ঘটনাটি নরওয়ে শিশু সুরক্ষা দফতরের কানে যেতেই শ্রীরামকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে নেন তাঁরা। যদিও উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণের অভাবে মে মাসে শ্রীরামকে বাবা-মা’র কাছে ফিরিয়েও দেয় ওই দফতর। জুলাইয়ে দুই ছেলেকে নিয়ে ভারতে ফিরে আসেন বল্লভানেনি দম্পতি। নভেম্বরে কর্মসূত্রে ফের অসলোয় আসতে হয় চন্দ্রশেখরকে। ২৬ নভেম্বর নিম্ন আদালতে হাজিরা দেওয়ার নোটিস ধরানো হয় তাঁকে। খবর শুনে অসলোয় আসতে বাধ্য হন স্ত্রী অনুপমাও। তাঁরা যাতে ভারতে পালিয়ে না যেতে পারেন তার জন্য গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। ঠিক হয়েছিল সোমবারই ওই বিচারের রায় ঘোষণা হবে। শিশু-সন্তানের উপর অত্যাচার করার শাস্তি পাবেন তাঁরা। কিন্তু নির্দিষ্ট তারিখের পরিবর্তে আদালত রায় ঘোষণা করল মঙ্গলবার। জেল হল সাই শ্রীরামের বাবা-মায়ের।
আদালতের এই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে অসলোয় ভারতীয় রাষ্ট্রদূত যোগাযোগ রাখছেন চন্দ্রশেখর-অনুপমা ও তাঁদের আইনজীবীর সঙ্গে। বিদেশ মন্ত্রকের আশ্বাস, বল্লভানেনি দম্পতির পাশেই আছেন তাঁরা। কূটনৈতিক স্তরে ওই দম্পতিকে সার্বিক ভাবে সাহায্য করতে প্রস্তুত ভারত।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.