ঘরের কাছে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের স্ত্রী ডোনাও নাচের সঙ্গে সঙ্গে একটি সুইমিং পুলও খুলেছেন। “আমাদের বাড়িতে একটি পুকুর ছিল, কিন্তু সেটার রক্ষণাবেক্ষণে অসুবিধে হত। বর্ষাকালে মশামাছির উপদ্রব হত। আর আমার নাচের স্কুলে যে ছাত্র-ছাত্রীরা আসত তারাও আমাকে প্রায়ই বলত, তারা পুকুরে নামতে চায়। সব কিছু মাথায় রেখেই সেই পুকুরটাকে আমি সুইমিং পুলে কনভার্ট করি। এটা আমার একটা ইচ্ছে প্রকাশের মাধ্যম বলতে পারেন। আর মহারাজও সব ব্যাপারে আমায় সমর্থন করে। এ ক্ষেত্রেও তাই। এবং গরম কালে মহারাজ, আমি, সানা তিন জনেই চুটিয়ে ব্যবহার করি পুলটা।” বলছেন ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়।
ক্রিকেট তো হল। ইদানীং দেখা যাচ্ছে বলিউড তারকাদের স্ত্রীরাও তাঁদের স্বামীদের ছায়া থেকে বেরিয়ে নিজস্ব অস্তিত্ব খোঁজার চেষ্টা করছেন। তাঁরা আর কেবল মাত্র তাঁদের খ্যাতিমান স্বামীদের ‘ট্রফি ওয়াইফ’ নন। যেমন গৌরী খানের ক্ষেত্রেই ধরুন।
২০১২-তে হৃতিক রোশনের স্ত্রী সুজান রোশনের হোম স্টোর ‘দ্য চারকোল প্রজেক্ট’-এর সঙ্গে অংশীদারিত্বে তাঁর নিজের আসবাব বিপণির উদ্বোধন করেন গৌরী খান।
সুজান রোশনের কথা বলতে হলে জানাতে হয় ব্রুকস কলেজ লং বিচ ক্যালিফোর্নিয়ায় ইন্টেরিয়র ডিজাইনে ডিগ্রি নেওয়ার পর হৃতিকের স্ত্রী ইন্টেরিয়র ডিজাইন নিয়ে কিছু করবেন মনস্থ করেছিলেন। সুজানের মা জারিন খানও ইন্টেরিয়ার ডিজাইনে পটু। মায়ের পদাঙ্ক অনুসরণ করে সুজানও ইন্টেরিয়ার ডিজাইনের ক্ষেত্রে একটা বড় মাপের নাম আজকের দিনে। হৃত্বিক রোশনের সঙ্গে দীর্ঘ বিবাহিত জীবনের পর তিনি এই কিছু দিন হল তাঁর স্বপ্নের স্টোর ‘দ্য চারকোল প্রজেক্ট’ উদ্বোধন করেছেন। রানি মুখোপাধ্যায়, প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার মতো সেলিব্রিটিদের বাড়ির অন্দরসাজ তাঁরই করা।
অন্য দিকে ফারহান আখতারের স্ত্রী অধুনা আখতার তাঁর জনপ্রিয় কেশ সজ্জার বিপণি চেন ‘বি-ব্লান্ট’ চালাচ্ছেন তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে। ‘দিল চাহাতা হ্যায়’ চুলের স্টাইল ছবি রিলিজ করার সঙ্গে সঙ্গে জনপ্রিয় হয়েছিল। এই ‘লুক’-এর স্রষ্টাও তিনি। তারকা স্ত্রী থেকে ‘বিজনেস ওম্যান’ হয়ে ওঠা নারীদের মধ্যে টুইংকল খন্নাও অন্যতম। এই প্রাক্তন নায়িকা অভিনেতা অক্ষয়কুমারের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার পর, তাঁর ফিল্মি কেরিয়ার বিসর্জন দিয়ে তাঁর মা ডিম্পল কাপাডিয়ার সঙ্গে মোমবাতি তৈরির ব্যবসা শুরু করেন। তিনিও সম্প্রতি তাঁর নিজস্ব ব্র্যান্ডের একটি অন্দরসজ্জা বিপণির উদ্বোধন করেছেন। |
অন্য দিকে এই মডেলিংয়ের দুনিয়া কাঁপানোর পরে মেহের জেসিয়া অর্জুন রামপালের জীবনসঙ্গিনী হন। প্রাক্তন এই সুপার মডেল, মডেলিং থেকে অবসর নেওয়ার পর ‘চেজিং গণেশা’ নামে একটি মডেল ব্যবস্থাপনার সংস্থা চালু করেন। আই পি এলের পার্টি ও ফ্যাশন শো’র রমরমা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগে তার ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন মেহেরই। এ ছাড়াও স্বামীর সঙ্গে দিল্লির রেস্তোরাঁ ‘ল্যাপ’-এরও দেখ-ভাল করেন তিনি।
তালিকা এখানেই শেষ নয়। টেনিস তারকা মহেশ ভূপতির স্ত্রী লারা দত্তও আছেন সেই দলে। তাঁর একটি নিজস্ব শাড়ি ডিজাইনার লাইনও আছে। ব্যবসায়ী বউদের আর এক জন হলেন সুনীতা আহুজা। গোবিন্দর স্ত্রী। তিনি ভারী গড়নের মহিলাদের একটি ক্লোদিং স্টোর খুলছেন। নিজের কেনাকাটা করতে গিয়ে ওজন নিয়ে সমস্যায় পড়েছিলেন বলেই তিনি এই স্টোর খুলেছেন। “বিদেশে আমাদের মতো প্লাস সাইজ ওম্যানের জন্য আলাদা ক্লোদিং স্টোর আছে। আমিও সেটা অনুসরণ করেই এই রকম আউটলেট খুলতে চলেছি,” বলছেন সুনীতা।
বেটার হাফ-দের বিজনেস হাফ হয়ে যাওয়ার এই রূপান্তরের কাহিনিও কম উত্তেজক নয়। |