|
|
|
|
প্রধানের বিরুদ্ধে টাকা নয়ছয়ের নালিশ দাঁতনে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দাঁতন |
সিপিএমের পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্পে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা তছরুপের অভিযোগ উঠল। দাঁতন-২ ব্লকের তালদা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তথা সিপিএমের খণ্ডরুই লোকাল কমিটির সদস্য তপন জানা অভিযোগ অস্বীকার করলেও বিডিও ইন্দ্রনীল চক্রবর্তী জানিয়েছেন, প্রশাসনিক তদন্তে অভিযোগের কিছু সত্যতা মিলেছে।
তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক শৈবাল গিরি বলেন, “প্রশাসনিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। তদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে জেলাশাসক বিডিওকে প্রশাসনিক পদক্ষেপের নির্দেশ দিলেও বিডিও গরিমসি করে প্রধানকে আড়াল করার চেষ্টা করছেন।” তাঁর হুমকি এক সপ্তাহের মধ্যে এফআইআর করা না হলে তাঁরা বিডিওকে লাগাতার ঘেরাও করে রাখবেন। বিডিও বলেন, “সোমবার ব্লক অফিসে চূড়ান্ত শুনানি হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনে জেলাশাসকের নির্দেশ কার্যকর করা হবে।”
তৃণমূলের অভিযোগ, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে তালদা গ্রামে সুধীর শৈবালের বাড়ি থেকে মেনকাপুর পাকা রাস্তায় পর্যাপ্ত মাটি ও মোরামের কাজে আড়াই লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়। কিন্তু কাজ না করেও জাল সই করে টাকা তোলা হয়েছে। ওই প্রকল্পে তালদা পূর্ব পাড়া থেকে সোলেমানপুর করপাড়া পর্যন্ত কাজের জন্য আড়াইলক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়। কিন্তু আংশিক কাজ করে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। ব্যক্তিগত পুকুর সংস্কারের কাজে সোলেমানপুরের অশোক দাসের পুকুরের জন্য ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ টাকাও একইভাবে তুলে নেওয়া হয়েছে। সন্তোষ সামন্তের ৮৩ ডেসিবল বাস্তু ভরাটের জন্য টাকা তোলা হয়ে গেলেও বাস্তবে ওই পরিমাণ জমিই নেই বলে অভিযোগ। ওই গ্রামেরই রাধেশ্যাম মাইতি ও মানিক আদকের পুকুরে গার্ডওয়াল নির্মাণের জন্য এক লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়। কিন্তু আংশিক কাজ করে সেখানেও সব টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। সিরনি ও কেশরম্ভা গ্রামে কংক্রিটের নর্দমা তৈরি বাবদ মোট ছ’টি প্রকল্পে এক লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ করা হয়। সেখানে কাজ হয়নি, কাঁচামালেরও হদিস নেই। কিন্তু তোলা হয়েছে টাকা। অভিযোগ প্রধানের নামেই আছে পৃথক দুটি বিপিএল কার্ড। তৃণমূল নেতা সলিল দাস পট্টনায়ক বলেন, “২০১১ সালের গোড়া থেকেই আমরা লিখিত অভিযোগ জানাই প্রশাসনের কাছে। কিন্তু প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় আমারা লাগাতার আন্দোলন শুরু করি। বাধ্য হয়েই বিডিও ও যুগ্ম বিডিও দেবাশিষ সাহা তদন্ত করেন। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়া সত্বেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছিল না। এ দিন অবশ্য শুনানির পরে বিডিও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। আমরা চাই ওই সিপিএম নেতার শাস্তি হোক।”
প্রধান তপন জানা বলেন, “সমস্তটাই ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। সরকারি পদ্ধতি ও নিয়ম মেনে কাজ হয়েছে, টাকাও দেওয়া হয়েছে। তিনটি পৃথক অডিট রিপোর্টেও এই কাজগুলি নিয়ে বিরূপ মন্তব্য নেই। প্রশাসনকে চাপ দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মামলা করতে চাইছে তৃণমূল। মানুষই প্রতিরোধ করবেন।” |
|
|
|
|
|