ফের একই ঘটনা। প্রায় এক মাসের ব্যবধানে মাঠের মধ্যে থাকা কুয়োতে পড়ল বাচ্চা হাতি। প্রথমবার রক্ষা পেলেও এ বার প্রাণ গেল বাচ্চা হাতিটির। এ দিকে সন্তানকে উদ্ধার করতে গিয়ে ওই কুয়োর মধ্যে রাতভর কাটাতে হল মা হাতিকে। প্রায় ১২ ঘণ্টা মৃত সন্তানের সঙ্গে বন্দি থাকার পর সোমবার সকাল ১০টা নাগাদ বন দফতরের কর্মীরা উদ্ধার করেন মা হাতিকে। উদ্ধারের পরে সন্তানের খোঁজে বার বার কুয়োর কাছে ফিরে আসতেও দেখা যায় মা হাতিকে।
|
|
|
এ ভাবেই রাতভর কুয়োয় পড়েছিল হাতি দু’টি।
তখনও চলছে উদ্ধার কাজ।
ছবি: প্রদীপ মাহাতো। |
|
শেষ মেষ সন্তানকে না পেয়ে ডুংরাবুরু পাহাড়ের দিকে চলে যায় মা হাতিটি।
ঘটনাটি ঝালদার ডুরগু এলাকার। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাত প্রায় ৯টা হবে। ওই সময় দু’টি হাতির দল ঝালদার ডুংরাবুরু পাহাড় থেকে ঝাড়খণ্ডের মুরির দিকে যাচ্ছিল। একটি দলে ১৭টি ও অন্য দলে ২২টি হাতি ছিল। ১৭টি হাতির ওই দলটি প্রায় এক মাস আগে মুরি থেকে ডুংরাবুরু পাহাড়ে আসে। রবিবার সেই দল থেকে ১টি বাচ্চা হাতি ১২ ফুট ব্যাসের একটি কুয়োতে পড়ে যায়।
ডুরগুর বাসিন্দা নবীনচন্দ্র কুইরি, সুকুমার মাহাতোরা বলেন, “ভাদ্র মাসের পর থেকে এই রাস্তায় প্রায়ই হাতির দল যাওয়া আসা করে। রবিবার রাতে ওই কুয়োতে কিছু একটা পড়ে যাওয়ার আওয়াজ পাই। দেখি কুয়োর কাছে হাতির দল খুব চিৎকার করছে। তার একটু পরেই দলটি দুলমি গ্রামের দিকে চলে যায়।” |
জঙ্গলের দিকে চলে যাচ্ছে কুয়োয় পড়ে যাওয়া হাতিটি। ঝালদায় তোলা নিজস্ব চিত্র। |
ভোরে গ্রামের লোকজন সেখানে গিয়ে দেখেন, একটা বাচ্চা হাতি ও তার মা কুয়োর মধ্যে পড়ে আছে। গ্রামবাসীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে বনকর্মীরা আসেন। যন্ত্র নিয়ে মাটি কেটে দিতেই মা হাতিটি উঠে যায়। বাসিন্দারা জানান, কিছুক্ষণ পরে ওই হাতিটি কুয়োর কাছে আসে। এই ভাবে প্রায় চারবার আসা যাওয়ার পরে ডুংরাবুরু পাহাড়ের দিকে চলে যায় হাতিটি। ডিএফও অজয় কুমার দাস বলেন, “বাচ্চা হাতিটির ময়নাতদন্ত করার পরে ঝালদাতেই সৎকারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।” |