আদালতের স্থগিতাদেশ অগ্রাহ্য
জিএমআরকে সরিয়ে বিমানবন্দরের রাশ হাতে রাখবে মলদ্বীপ
সিঙ্গাপুর হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ সত্ত্বেও, মালে বিমানবন্দর আধুনিকীকরণের দায়িত্ব থেকে ভারতীয় সংস্থা জিএমআর-কে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তে অটল মলদ্বীপ। ওই বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতেই নেওয়া হবে বলে জানাল মলদ্বীপ। এ দিকে, সংশ্লিষ্ট সূত্রের ইঙ্গিত, পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে মলদ্বীপকে অনুদান বন্ধ করছে ভারত।
মালের ইব্রাহিম নাসির আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আধুনিকীকরণে ভারতীয় সংস্থা জিএমআর-এর বরাতবাতিল করা নিয়ে সিঙ্গাপুরের আদালতে গিয়েছিল ভারতীয় সংস্থাটি। আদালত মলদ্বীপের ওই নির্দেশের উপর সোমবারই স্থগিতাদেশ দেয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও, বিমানবন্দরের রাশ নিজেদের হাতে নিতে অনড় মলদ্বীপ সরকার। বিমানবন্দর ছাড়ার জন্য জিএমআর-কে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণও দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে তারা।
সোমবার সরকারের পক্ষ থেকে মলদ্বীপের প্রতিরক্ষা এবং অস্থায়ী পরিবহণ মন্ত্রী মহম্মদ নাজিম এ কথা জানিয়ে বলেন, আগামী শনিবার থেকেই বিমানবন্দর পরিচালনার সমস্ত দায়িত্ব তাঁরা নেবেন। সরকারি মলদ্বীপ এয়ারপোর্ট কোম্পানিই সেটি পরিচালনা করবে। জিএমআর জানিয়েছে, আদালতের নির্দেশ তারা হাতে পেয়েছে। সেই অনুযায়ী আগামী দিনেও বিমানবন্দর পরিচালনার কাজ তারা চালিয়ে যাবে। এমনকী ভবিষ্যতে আইনি পথেই তারা নিজেদের অধিকারের জন্য লড়বে বলেও স্পষ্ট জানিয়েছে জিএমআর। ২০১০ সালের চুক্তি অনুযায়ী, মলদ্বীপ এবং জিএমআর উভয়েই যে সিঙ্গাপুর অথবা ব্রিটেনের আদালতের রায় মেনে চলতে বাধ্য, তা-ও স্পষ্ট করে দিয়েছে তারা।
এর আগে গত ২৭ নভেম্বর মালে বিমানবন্দর নিয়ে জিএমআর-এর সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে মলদ্বীপের নতুন সরকার। তাদের যুক্তি ছিল, ২০১০-এ প্রেসিডেন্ট মহম্মদ নাসিদের আমলে হওয়া চুক্তিটি অবৈধ এবং এতে আইনের বাইরে গিয়ে সংস্থাকে যাত্রীদের কাছ থেকে ডেভেলপমেন্ট ফি বাবদ অর্থ আদায়ের সুবিধা দেওয়া হয়েছে।
চুক্তি বাতিলের তীব্র বিরোধিতা করে ভারত। এই সিদ্ধান্তে ভবিষ্যতে সেখানে বিদেশি লগ্নি মার খাবে বলেও মত প্রকাশ করে তারা। যার বিরুদ্ধে মুখ খোলেন সে দেশের বর্তমান প্রেসিডেন্ট মহম্মদ ওয়াহিদ। তিনি জানান, এই সিদ্ধান্ত দ্বিপাক্ষিক আদান-প্রদানের উপর কোনও প্রভাব ফেলবে না।

ভারতের রেটিং নিয়ে ফের হুমকি ফিচ-এর
ভারতের রেটিং কমতে পারে বলে ফের হুমকি দিল ফিচ। আন্তর্জাতিক এই মূল্যায়ন সংস্থা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বৃদ্ধির হার কমার প্রবণতা এবং ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আর্থিক সংস্কারের পথ থেকে সরে আসার মাসুল গুনতে হতে পারে ভারতকে। তাদের রেটিং সে ক্ষেত্রে এমন এক পর্য়ায়ে নামতে পারে, যেখানে লগ্নি টানার ন্যূনতম শর্তই পূরণ করা সম্ভব হবে না। তবে ফিচ অবশ্য চলতি ২০১২-’১৩ অর্থবর্ষের জন্য বৃদ্ধির হার ৬ শতাংশে থাকার ইঙ্গিত দিয়েছে। এর আগে জুনে ভারতের রেটিং কমার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিল ফিচ। স্থিতিশীল থেকে তা নেতিবাচক হতে পারে বলে পূর্বাভাস দেয় তারা। পরের মাসেই তারা জানিয়েছিল, পরবর্তী ১২ থেকে ২৪ মাসে ভারতের রেটিং কমার সম্ভাবনা ৫০ শতাংশেরও বেশি। তার পর এ দিন ফের ভারতকে হুমকি দিল ফিচ।

ভারতীয়র নজির
রুপার্ট মার্ডকের ‘নিউজ কর্প’-এর প্রকাশনা ও বৈদ্যুতিন বিভাগ দু’টি আলাদা সংস্থা হতে চলেছে। প্রকাশনা বিভাগের মুখ্য আর্থিক অফিসার হচ্ছেন বেদী অজয় সিংহ। এর আগে এমজিএম স্টুডিওজ, নোভার্টিস ফার্মাসিউটিক্যালস, সোনি পিকচার্স এন্টারটেনমেন্টের মতো সংস্থায় একই পদ সামলেছেন তিনি।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.