সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে বক্সা বাঘবনের কোর এলাকায় পযর্টকদের প্রবেশের অনুমতি দিতে চলেছে বন দফতর। দ্রুত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ খতিয়ে দেখে তা কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছেন বন মন্ত্রী হিতেন বর্মন। বক্সা ব্যঘ্র প্রকল্পের কর্তারা জানান, জাতীয় বাঘ সংরক্ষণ অথরিটির নির্দেশিকা নিয়ে আসা হয়েছে। দ্রুত কোর এলাকার কোনও যায়গায় পর্যটকদের গাড়ি ঢোকার অনুমতি দেওয়া যাবে তা নিয়ে চিন্তা ভাবনা শুরু হয়েছে।
রাজ্যের বন মন্ত্রী হিতেন বর্মন বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট ১৬ অক্টোবর একটি নির্দেশিকায় ব্যাঘ্র প্রকল্পগুলির কোর এলাকায় পর্যটকদের ঢোকার অনুমতি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, কোর এলাকার ২০ শতাংশ এলাকায় পর্যটকদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া যাবে। সুপ্রিম কোর্ট ও জাতীয় বাঘ সংরক্ষণ অথরিটির নির্দেশিকা দেখে তা কার্যকর করার জন্য বন অফিসারদের বলেছি।” বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের উপক্ষেত্র অধিকর্তা ভাস্কর জেভি জানান, জাতীয় বাঘ সংরক্ষণ অথরিটির নির্দেশিকা নিয়ে আসা হয়েছে। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ৭৬১ বর্গ কিলোমিটার এলাকা রয়েছে। তার মধ্যে ৩৯০ বর্গ কিলোমিটার ‘কোর’ এলাকা বলে চিহ্নিত। যেখানে পর্যটকদের প্রবেশে অনুমতি ছিল না।
সুপ্রিম কোর্টে থেকে কোর এলাকার ২০ শতাংশ এলাকায় পর্যটকদের প্রবেশের নির্দেশ দেওয়া, বিষয়টি কার্যকর করবার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে কোর এলাকার কোন জায়গায় পর্যটকদের কার সাফারির অনুমতি দেওয়া হবে তা স্থির করা হবে। বক্সার জঙ্গলে হুড খোলা জিপ গাড়ি করে পর্যটকরা ভেতরে প্রবেশ করতে পারবেন। স্থানীয় বনবস্তি বাসীরা জঙ্গলে কার সাফারির জন্য পেট্রোল চালিত গাড়ি পর্যটকদের যাতে ভাড়া দিতে পারেন সে বিষয়ে চিন্তা ভাবনা চলছে।
২৪ জুলাই সুপ্রিম কোর্ট এক নির্দেশ জারি করে ব্যাঘ্র প্রকল্পগুলিতে অর্ন্তবর্তী নিষেধাজ্ঞা জারি করে পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছিল। ফের ১৬ অক্টোবর বিষয়টি নিয়ে শুনানিতে জানায়, জাতীয় বাঘ সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষের নিয়ম মেনে জঙ্গলের কোর এলাকায় ২০ শতাংশ এলাকায় পর্যটকদের প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে। তবে পর্যটকরা যাতে বন্যজন্তুদের দূরে থাকেন এবং জঙ্গলের পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখেন সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
জয়ন্তী গ্রাম উন্নয়ন কমিটির সম্পাদক শেখর ভট্টাচার্য জানান, ২০১০ সালে বনকর্তার হঠাৎ ‘বাফার’ এলাকায় কার সাফারি বন্ধ করে দেন। এ বছর ১৬ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট ব্যাঘ্র প্রকল্পগুলির কোর এলাকায় পর্যটকদের প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে। তবে এখনও বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের কর্তার সুপ্রিম কোর্টের ওই নির্দেশ কার্যকরী করছে না। ইতিমধ্যে পর্যটন মরসুম শুরু হয়েছে। দ্রুত কোর এলাকায় পর্যটনের অনুমতি দিলে এলাকায় বন্য জন্তু দেখার জন্য পর্যটকদের ঢল নামবে।
|
গঙ্গাতীরে মানববন্ধন বিজেপি-র
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
সংগঠন বিস্তারের জন্য পরিবেশ আন্দোলনের আশ্রয় নিচ্ছে বিজেপি। গঙ্গাকে দূষণমুক্ত করার দাবিতে রবিবার গঙ্গাতীর বরাবর মানবশৃঙ্খল রচনা করল তারা। মিলেনিয়াম পার্কে ওই কর্মসূচিতে অংশ নেন দলের রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ। রাজ্যের যে সমস্ত অঞ্চল দিয়ে গঙ্গা বইছে, সে সব এলাকা মিলিয়ে বিজেপি-র ১৪টি সাংগঠনিক জেলা কমিটি রয়েছে। ওই জেলা কমিটিগুলির সদস্যরা এ দিন নিজের নিজের এলাকায় গঙ্গাতীর বরাবর মানবশৃঙ্খল রচনা করেছেন। গঙ্গাকে দূষণমুক্ত করার দাবিতে সেপ্টেম্বরে গঙ্গাসাগর থেকে গঙ্গোত্রী যাত্রা করেছিলেন দলের নেত্রী উমা ভারতী। তখন চার দিন পশ্চিমবঙ্গে ছিলেন তিনি। ওই কর্মসূচিতে আড়াল থেকে বিজেপি-ই তাঁকে সাহায্য করেছিল। রাহুলবাবু বলেন, “সংগঠন বাড়াতে হবে। যেখানে সরাসরি বিজেপি গেলে লোক পাব না, সেখানে সামাজিক বা পরিবেশ আন্দোলনের ছদ্মবেশে কাজ করতে হবে। এই উদ্দেশ্যেই গঙ্গাতীরে মানববন্ধন।” |