এমনিতে খালি চোখে তার দেখা মেলে না। তবে ‘প্রতিযোগ’ ঘটলে মাঝে মাঝে বৃহস্পতি গ্রহের দেখা পায় পৃথিবী। আজ, সোমবার সেই প্রতিযোগের ফলে সূর্য ডুবে গেলেই পূর্ব আকাশে খালি চোখে দেখা মিলবে জ্বলজ্বলে বৃহস্পতির। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানান, শুধু সন্ধ্যায় নয়, সারা রাত ধরেই আকাশে উজ্জ্বল দেখাবে সৌরজগতের সব চেয়ে বড় গ্রহটিকে।
কী এই প্রতিযোগ?
জ্যোতির্বিজ্ঞানের ব্যাখ্যা, পৃথিবীর কক্ষপথের বাইরে যে-সব গ্রহ রয়েছে (মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি প্রভৃতি), সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে করতে এক সময় তারা পরস্পরের বিপরীত দিকে চলে যায়। আর তাদের মাঝখানে থাকে পৃথিবী। এই মহাজাগতিক ঘটনাকেই ‘প্রতিযোগ’ বলে। প্রতিযোগের সময় পৃথিবীর খুব কাছে চলে আসার ফলে গ্রহটিকে খুব
উজ্জ্বল দেখায়।
এ বারের প্রতিযোগে পৃথিবী ও বৃহস্পতির দূরত্ব কমে প্রায় ৩৭৮ মিলিয়ন মাইল হয়ে যাবে বলে জানাচ্ছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। আজ, সোমবার ভারতীয় সময় সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে প্রতিযোগ ঘটবে বৃহস্পতির। ওই সময়েই পৃথিবীর সব থেকে কাছে অবস্থান করবে সে। কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থা পজিশনাল অ্যাস্ট্রোনমি সেন্টারের অধিকর্তা সঞ্জীব সেন জানান, ৩৯৯ দিন অন্তর বৃহস্পতির প্রতিযোগ ঘটে। ২০১১ সালের ২৯ অক্টোবর বৃহস্পতির প্রতিযোগ হয়েছিল। ২০১৩ বাদ
দিয়ে ২০১৪ সালের ৬ জানুয়ারি
ফের এমন ঘটনা ঘটবে। তিনি
বলেন, “রাতের আকাশে খালি চোখেই বৃহস্পতিকে দেখা যাবে। টেলিস্কোপে দেখা মিলবে তার চারটি বড় উপগ্রহেরও।”
পজিশনাল অ্যাস্ট্রোনমি সেন্টার জানিয়েছে, আজ, সোমবার বিকেল পৌনে ৫টায় পূর্ব আকাশের উত্তর দিক ঘেঁষে বৃহস্পতির উদয় হবে। বৃষ রাশিতে রোহিণী নক্ষত্রের খুব কাছে অবস্থান করবে সে। বিকেল ৫টা থেকেই তাকে খালি চোখে দেখা যাবে। কাল, মঙ্গলবার ভোর ৬টা
তিন মিনিটে অস্ত যাবে গ্রহটি।
কেন্দ্রীয় সরকারের এক জ্যোতির্বিজ্ঞানী বলেন, “প্রতিযোগ হয়ে গেলে গ্রহটি ধীরে ধীরে দূরে চলে যাবে।
তবে আগামী কয়েক দিনও রাতের আকাশে উজ্জ্বল ভাবে দেখা যাবে বৃহস্পতিকে।”
|
সরাসরি ডিএনএ
সংবাদসংস্থা • লন্ডন |
সরাসরি দ্বিতন্ত্রী ডিএনএ-র ছবি তুললেন ইতালির জিনোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। সৌজন্যে তাঁদেরই আবিষ্কার। এত দিন ‘এক্স-রে ক্রিস্টালোগ্রাফি’র মাধ্যমে ডিএনএ-র ছবি তোলা হত। নতুন পদ্ধতিতে এঞ্জো দি ফাব্রিজিও এবং তাঁর সহকর্মীরা ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপে স্ক্যান করে সরাসরি ছবি তুলেছেন ডিএনএ-র। ফাব্রিজিওর আশা, এর ফলে অনেকটাই সুবিধা হবে।
|
চার্জ দেবে বনসাই
সংবাদসংস্থা • লন্ডন |
এক যাত্রায় ঘর সাজানো ও চার্জ দেওয়া দুই কাজই সেরে নেওয়া যাবে। ভিভিয়েন মুলার নামের এক ফরাসি শিল্পী এমন বনসাই গাছ আবিষ্কার করেছেন, যা সৌরশক্তিকে ব্যাটারিতে সঞ্চয় করবে। ফলে সেটি মোবাইল, ল্যাপটপ ইত্যাদি বৈদ্যুতিন যন্ত্রে চার্জ দেওয়ার কাজে ব্যবহার করা যাবে। গাছটির নাম ‘দ্য ইলেকট্রি প্লাস’। ভারতে দাম ২৫ হাজার টাকা। |