|
|
|
|
শিশির ডাকেননি বৈঠকে, নেতৃত্বকে নালিশ শিউলির |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতই হুঁশিয়ারি দিন, পূর্ব মেদিনীপুরে শিশির-শুভেন্দু বনাম শিউলি সাহার গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বাগে আনতে পারছে না তৃণমূল।
আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে যত দ্রুত সম্ভব দলের ফাঁকফোকর মেরামত করে ফেলতে চাইছে রাজ্যের শাসকদল। কিন্তু শনিবার তমলুকে ভোটের প্রস্তুতি সভায় ডাক না পাওয়ার অভিযোগ তুললেন হলদিয়ার বিধায়ক শিউলি সাহা। দুই সাংসদ তথা দলের জেলা সভাপতি শিশির অধিকারী ও তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও বিভিন্ন পদাধিকারী সভায় ছিলেন। ছিলেন জেলার অধিকাংশ বিধায়কও।
শিউলিদেবীর অভিযোগ, “এ দিনের সভার কথা আমায় জানানোই হয়নি। জেলা সভাপতি ডাকেননি। আমি কলকাতার বাড়িতে ছিলাম। ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকে জানিয়েছি।” এই নিয়ে শিশিরবাবু কোনও কথাই বলতে চাননি। অন্য কিছু নেতা গরহাজির থাকলেও তাঁরা কাজের সূত্রে অন্যত্র আছেন বলে জানিয়েছেন। শিউলিই এক মাত্র ব্যতিক্রম। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় বলেন, “কী হয়েছে, জানি না। খোঁজ নেব।”
তৃণমূল সূত্রের খবর, তমলুকের নিমতৌড়ি স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে এ দিন স্থানীয় নেতাদের পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি সংক্রান্ত বিভিন্ন নির্দেশিকা দেওয়া হয়। জেলা কংগ্রেসের সহ-সভাপতি ধীরেন পাত্র-সহ দু’জন এবং সিপিএমের কয়েক জন আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূলে যোগ দেন। |
|
|
|
শিশির অধিকারী |
শিউলি সাহা |
শুভেন্দু অধিকারী |
|
১৫ ডিসেম্বর হলদিয়ার রূপকার সতীশচন্দ্র সামন্তের জন্মদিনে স্থানীয় হেলিপ্যাড ময়দানে এবং ৭ জানুয়ারি নন্দীগ্রাম ও নেতাই-গণহত্যার স্মরণে চণ্ডীপুর ফুটবল ময়দানে জনসভা করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
কিন্তু এই তোড়জোড়ের মধ্যেই কাঁটার মতো বিঁধছে দলীয় কোন্দল। গত মে মাসে হলদিয়া পুর নির্বাচনে তৃণমূূলের প্রার্থী তালিকা নিয়ে শুভেন্দুর সঙ্গে শিউলি সাহার যে মতবিরোধ প্রকাশ্যে এসেছিল, তার জের যে চলছেই এ দিন তা-ই ফের প্রকাশ্যে এসেছে। পুরভোটের আগেই প্রার্থী বাছাই নিয়ে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে দলের রাজ্য নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন শিউলি। মাস কয়েক আগে তমলুকে শিশিরবাবুর ডাকা সাংগঠনিক বৈঠকে গিয়েছিলেন শিউলি। কিন্তু তিনি আসায় মঞ্চে হাজির রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর সামনেই বৈঠক বয়কট করেন হলদিয়া পুরসভার শুভেন্দু-অনুগামী তৃণমূল কাউন্সিলরেরা। সে দিনও শিউলি অভিযোগ করেন তাঁকে বৈঠকে ডাকা হয়নি। রাজ্য সভাপতি আসার খবর পেয়ে তিনি নিজেই এসেছেন। শিশিরবাবুর দাবি ছিল, হলদিয়ার বিধায়ককে ডাকা হয়েছে। এ দিন তিনি বলেন, “কোনও মন্তব্য করব না।” |
|
|
|
|
|