শিলংয়ের মাটিতে টানা দু’বছরের খরা কাটলেও পুরো পয়েন্ট জুটল না ইস্টবেঙ্গলের ভাগ্যে। শনিবার লাজং এফসি-র বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র করেই সন্তুষ্ট থাকতে হল ট্রেভর মর্গ্যানের দলকে।
ভারতের মাটিতে টানা ৩২ ম্যাচে অপরাজিত থাকার অনন্য রেকর্ড ধরে রাখলেও আই লিগে ‘ফার্স্ট বয়ের’ চেয়ারটা ফসকে গেল ইস্টবেঙ্গলের (৯ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট)। মারগাওয়ে সালগাওকরকে ২-১ হারিয়ে লিগ-শীর্ষে এখন আর্মান্দো কোলাসোর ডেম্পো (৯ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট)। মর্গ্যান অবশ্য শিলং থেকে ফোনে বললেন, “সব ম্যাচ জেতা যায় না। আমি খুশি যে আমরা এখান থেকে এক পয়েন্ট নিয়ে ফিরছি।”
যে দল আই লিগে চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য লড়ছে, তাদের কোচ এক পয়েন্ট পেয়েই খুশি? অবাক শোনালেও, পরিসংখ্যান ঘাঁটলে কিন্তু দেখা যাবে মর্গ্যানের কথায় যুক্তি আছে। কেননা এই মরসুমে এখনও পর্যন্ত কলকাতার কোনও দলই শিলং থেকে পয়েন্ট নিয়ে ফিরতে পারেনি। মোহনবাগানকে ২-০, প্রয়াগ ইউনাইটেডকে ৩-২ এবং পৈলান অ্যারোজকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে লাজং। মেহতাব হোসেন বলছিলেন, “এখান থেকে এক পয়েন্ট পাওয়াটাই খুব শক্ত। দেখবেন, শেষে গিয়ে এই পয়েন্টটাই কাজে লেগে যাবে।” |
ইস্টবেঙ্গল এ দিন ড্র করলেও, তিন পয়েন্ট নিয়েই ফেরা উচিত ছিল কলকাতায়। ম্যাচের শুরুতেই পেন ও লালরিন্দিকা একটি করে সিটার নষ্ট করলেন। বিরতির পরে লাজংয়ের চরম রক্ষণাত্মক ফুটবল বন্ধ করে দেয় গোলের রাস্তা। তবে মাঠের বাইরের আরও দু’টো ব্যাপারও কাজ করেছে ইস্টবেঙ্গলের বিপক্ষে। ডিসেম্বরের শুরুতে শিলংয়ের কনকনে ঠান্ডা এবং লম্বা যাত্রার ধকল। বিমানবন্দর থেকে প্রায় চার ঘণ্টার লম্বা পথ বাসে করে আসতে হয়েছে পেনদের। পাহাড়ে একেই দমের সমস্যা হয়। তার উপর ক্লান্তি আরও সমস্যায় ফেলে দিয়েছে লাল-হলুদ ফুটবলারদের। মেহতাব বলছিলেন, “সালগাওকর ম্যাচ খেলার পরে বিশ্রাম নেওয়ার সময় পাইনি। তার ওপর শিলংয়ে চার ঘণ্টার যাত্রা। অর্ধেক শক্তি তো রাস্তাতেই শেষ হয়ে গিয়েছিল।”
ডার্বি ম্যাচের আগে ইস্টবেঙ্গলের জন্য সুখবর একটাই দলে কোনও চোট-আঘাতের সমস্যা নেই। ইসফাক আমেদের তিনটে কার্ড সমস্যা আছে। কিন্তু সেটাকেও খুব গুরুত্ব দিচ্ছেন না মর্গ্যান। লাল-হলুদ কোচ বললেন, “খাবড়ার পায়ে সামান্য ব্যথা। তাই ওকে লাজং ম্যাচে খেলাইনি। এ ছাড়া আর কোনও সমস্যা নেই দলে।”
|
আই লিগে প্রথম সাত |
দল |
ম্যাচ |
পয়েন্ট |
ডেম্পো |
৯ |
২২ |
ইস্টবেঙ্গল |
৯ |
২১ |
চার্চিল |
৮ |
১৮ |
প্রয়াগ |
৮ |
১৪ |
পৈলান |
৯ |
১৪ |
পুণে |
৭ |
১৩ |
মোহনবাগান |
৮ |
১১ |
|