লক্ষ্মীর চার উইকেটে তিন পয়েন্ট দেখছে বাংলা।
এক সময়ে মূম্বইকে ৪৬-৩ করে দেওয়ার পর প্রথম দিনের শেষে তারা যখন ২৬২-৭, তখন তিন পয়েন্টের ভাবনা আসাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। ব্রেবোর্ন স্টেডিয়ামের উইকেটে সবুজ আভা। বল ‘ক্যারি’-ও হচ্ছে বেশ ভাল। রবিবার সকালেই নতুন বল নেবেন লক্ষ্মীরা। এমন উইকেটে সাতসকালে নতুন বলে মুম্বইয়ের টেল এন্ডারদের দ্রুত সাজঘরে ফেরাতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। তার পর শুরু হবে বাংলার ব্যাটসম্যানদের পরীক্ষা। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া বাংলার বোলিং বিভাগ পরীক্ষায় উতরে গিয়েছে বলে মনে হলেও ব্যাটিং বিভাগ কী করে, সেটাই দেখার। ব্যাটসম্যানদের নিয়েই তো যত চিন্তা বাংলার নির্বাচকদের। |
মুম্বইকে যিনি দেড়শো পর্যন্ত নিয়ে এলেন, সেই সদ্য হজ সেরে ফেরা অভিজ্ঞ ওপেনার ওয়াসিম জাফর এ দিন ৮০ রানে পৌঁছতেই পারতেন না, যদি ১৬ রানের মাথায় দ্বিতীয় স্লিপে দেওয়া সিটার অরিন্দম দাস ফেলে না দিতেন। সে ক্ষেত্রে লক্ষ্মীর (৪-৩৫) শিকার-সংখ্যাও একটি বাড়ত। জাফর ও ফর্মে থাকা অভিষেক নায়ারের (৬২) ১০৪ রানের পার্টনারশিপই মুম্বইকে এগিয়ে নিয়ে যায়। বাকিটুকু ওঠে উইকেটকিপার আদিত্য তারে (৩৮) ও বাঁহাতি ব্যাটসম্যান অঙ্কিত চবনের (৩৫) ৫৬ রানের জুটিতে। ক্রিজে অপরাজিত ধবল কুলকার্নি (২৪) ও রমেশ পওয়ার (১)।
মুম্বইকে বিপদে ফেলার মূলে বাংলার প্রাক্তন দলনেতা লক্ষ্মীরতন শুক্ল। ইডেনে গুজরাত ম্যাচেও কাঁধে চোটের জন্য যিনি বল করতে পারেননি, সেই লক্ষ্মী এ দিন বল হাতে পেয়ে শুরুতেই জ্বলে ওঠেন হিকেন শাহ ও অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে ফিরিয়ে দিয়ে। পরের দিকে জাফর ও চবনকে ফিরিয়ে মুম্বইয়ের শিরদাঁড়ায় আঘাত করেন তিনি। ন’টি মেডেন-সহ ২১ ওভার বল করা লক্ষ্মী রাতে মুম্বই থেকে ফোনে বলেন, “বল হাতে দলকে সুবিধাজনক জায়গায় এনে দিতে পেরেছি। এ বার আমাদের ব্যাটিংটা ঠিকঠাক করতে হবে। উইকেট বেশ ভাল। ‘ক্যারি’ হচ্ছে ভাল। এই উইকেটকে কাজে লাগাতে হবে আমাদের। আজ আমরা দিনের শেষে আর নতুন বল নিইনি। কাল সকালে নতুন বল নিয়ে ওদের আর কুড়ি-পঁচিশ রানের মধ্যে ফেলে দিতে পারলে প্রথম ইনিংসে আমাদের লিড পাওয়া উচিত। তবে সে জন্য ভাল ব্যাট করতে হবে।”
দিনের প্রথম শিকার কৌস্তুভ পওয়ারকে ফেরান ইরেশ সাক্সেনা (২-১০১)। অভিষেক নায়ারের স্টাম্প ছিটকে দেন বীর প্রতাপ সিংহ। কিন্তু বেশ অপ্রত্যাশিতভাবেই এ দিন উইকেট পেলেন না মহম্মদ সামি। অবশ্য বিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের বেঁধে রাখার কাজটা ভালই করেছেন। ২২ ওভার বল করে আটটি মেডেন পান ও ৬৩ রান দেন তিনি। দলের বোলারদের প্রশংসা করে এদিন লক্ষ্মী বলেন, “প্রত্যেকেই চেষ্টা করেছে। কোনও দিন কারও ভাগ্যে উইকেট জোটে, কারও জোটে না। আজকেও তা-ই হল। তবে কেউই খারাপ বল করেনি।”
|
সংক্ষিপ্ত স্কোর
মুম্বই ২৬২-৭ (জাফর ৮০, নায়ার ৬২, লক্ষ্মী ৪-৩৫, ইরেশ ২-১০১, বীরপ্রতাপ ১-৫৩) |