কায়রো প্যালেস্তাইন ইসলামাবাদ দামাস্কাস পিয়ংইয়ং |
কেবল পশ্চিমবঙ্গে নয়, মিশরেও আমরা নাম ওরা। ওদের মিছিল শেষ, এ বার আমাদের মিছিল। ওদের প্রতিবাদ-শিবির ভেঙেছে, এ বার আমাদের প্রতিবাদ-শিবির। গত দিন-দশেক কায়রোর তহরির স্কোয়্যার একেবারে অচল করে রেখেছিল প্রেসিডেন্ট মুর্সির বিরোধীরা। (ছবি) এ বার তাদের ছত্রভঙ্গ করে একই জায়গায় আন্দোলন শুরু করছে প্রেসিডেন্ট-সমর্থকরা, মুর্সির সংস্কার-প্রস্তাবের পক্ষে। ইতিমধ্যে সে দেশের সংবিধান নাকি প্রস্তুত, মুসলিম ব্রাদারহুডের নাকি মনোমতও হয়েছে সেই সংবিধান!
• আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ প্রশাসনের মডেল প্রস্তাব তৈরি করলেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী হিনা রব্বানি খার। তালিবানদের আলোচনা টেবিলে আনার জন্য যা যা করণীয়, পাকিস্তান সব করতে ইচ্ছুক: এই আশ্বাস রয়েছে প্রস্তাবে।
• ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশনস ইউনিয়ন থেকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশারের কাছে ‘কড়া’ বার্তা: নাগরিকদের ফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া উচিত, এখনই। প্রসঙ্গত, সিরিয়ার যুদ্ধ-পরিস্থিতি এতটাই অমানবিক এখন যে রাষ্ট্রপুঞ্জও নাকি ‘শক্ড’ বোধ করছে।
• উত্তর কোরিয়া দূরপাল্লার রকেট ‘লঞ্চ’ করতে চলেছে ১০ থেকে ২২ ডিসেম্বরের মধ্যে। আগের বার রকেট-প্রয়াস ব্যর্থ হয়েছিল, এই বার কী হয় দেখা যাক। |
• মাহমুদ আব্বাস বলেই তাঁকে সকলে চেনে। আসল নামটা আবু মাজেন। ২০০৫ থেকে প্যালেস্তিনীয় ন্যাশনাল অথরিটির প্রেসিডেন্ট। স্বজাতীয়দের মধ্যেও প্রভূত বিক্ষোভ তাঁর বিরুদ্ধে। কেউ বলেন তিনি সমঝোতাপন্থী, কেউ বলেন উচ্চাকাঙ্ক্ষী। প্যালেস্তাইনের রাষ্ট্রপুঞ্জের আসনটির জন্য ৯৮ শতাংশ কৃতিত্বই তাঁর। নায়কোচিত পালকটি মাথায় করে তিনি জয় পালন করতে গাজায় চলেছেন। |
|
শেষ পর্যন্ত আদালতের বাইরে আপসে মীমাংসা হল ডমিনিক স্ট্রস কান আর নিউ ইয়র্কের হোটেলকর্মী নাফিসাতৌ দিয়ালোর। কত ডলারে, এখনও জানা যায়নি। তবে অনিয়ন্ত্রিত যৌন তাড়নার যে মূল্য স্ট্রস কান গত দেড় বছরে চুকিয়েছেন, তা নেহাত কম নয়। আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের প্রধান ছিলেন। প্রায় নিশ্চিত ছিল, নিকোলাস সারকোজি-র পর ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী হবেন তিনিই। এই অবস্থায় তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনেন নাফিসাতৌ। পুলিশের হেফাজতে যান স্ট্রস কান, আই এম এফ-এর পদ যায়, রাজনৈতিক ভবিষ্যতেও পর্দা নেমে আসে। দেশের মাটিতেও তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠে, তদন্ত আরম্ভ হয়। পরে অবশ্য মার্কিন অভিযোগকারিণীর কিছু কথাও মিথ্যে প্রমাণিত হয়। নাটক তবে এত দিনে শেষ হচ্ছে?
|
চিনের অন্ধ বিদ্রোহী চেন গুয়াংচেং গৃহবন্দিত্ব থেকে পালিয়ে প্রথমে বিদেশি দূতাবাস, এবং তার পর বিদেশি সহায়তায় আমেরিকায় পালিয়ে যাওয়ার পর থেকেই তাঁর বৃহত্তর পরিবারের উপর নানা রকম জুলুম ও অত্যাচার চলছে। তাঁর ভাইপো চেন কেগুই-কে ইতিমধ্যে জোর করে গ্রেফতার করা হয়। তার বিচার ছাড়াই এই ভাবে গ্রেফতারের বিরুদ্ধে জনরব ও বিক্ষোভ শুরু হওয়ায় এক রকম বিচারও হয়, কয়েক মিনিটের জন্য! বিচারের নামে এই প্রহসনের পর চেনকে জেলে বন্দি করা হয়। আপাতত এই ঘটনায় আবারও অশান্ত চিনের প্রতিবাদী নাগরিক মহল।
|
রুপার্ট মার্ডকের ফোন ট্যাপ কেলেঙ্কারির কথা মনে আছে? তার জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ‘নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড’। তার পর সামগ্রিক ভাবে মিডিয়ার ভূমিকা খতিয়ে দেখতে যে কমিশন তৈরি হয়েছিল, তার রিপোর্ট পেশ করলেন লর্ড জাস্টিস লিভেসন। ২০০০ পাতার রিপোর্টে বললেন মিডিয়ার ভূমিকা ন্যক্কারজনক। এমনই অবস্থা যে মিডিয়ার ওপর নজরদারি করার জন্য নিরপেক্ষ ওয়াচডগ তৈরি করা প্রয়োজন। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন অবশ্য এই প্রস্তাব মানতে রাজি নন। মিডিয়া নিয়ে লর্ড লিভেসনের বক্তব্যের সঙ্গে একমত ক্যামেরন, কিন্তু নজরদারি সংস্থার ব্যাপারে তাঁর ‘ঘোরতর আপত্তি’। উপপ্রধানমন্ত্রী নিক ক্লেগ-এর মত হল, বিন্দুমাত্র দেরি না করে এই নজরদারি সংস্থাটি তৈরি করে ফেলা উচিত।
|
নিউ ইয়র্কে কনকনে ঠাণ্ডা রাতে ডিউটিতে ছিলেন এনওয়াইপিডি-র (নিউ ইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্ট) অফিসার ল্যারি ডি’প্রাইমো। ফুটপাথে বসে এক ভবঘুরে ভিক্ষা করছিল। তার পা খালি। অফিসারের চোখ পড়ল সে দিকে। তিনি এক জোড়া বুট আর মোজা এনে দিলেন তাকে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক ট্যুরিস্ট ছবি তুলে ফেসবুকে দিয়ে দিলেন। ব্যস, ছবি সুপারহিট। ‘লাইক’-এর সংখ্যা পাঁচ লাখ। |
একটা দেশে সেই ১৯৮৬ সালের পর আর ধর্মঘট হয়নি, ভাবলেই পেটের মধ্যে কেমন একটা করে না? দেশটার নাম সিঙ্গাপুর। সে দেশে জরুরি পরিষেবা ক্ষেত্রে ধর্মঘট করতে হলে অন্তত ১৪ দিনের নোটিস দিতে হয়। সেই নিয়ম ভেঙে ২৭ নভেম্বর ধর্মঘট পালন করলেন ১০০ বাসচালক। তাঁদের চিন থেকে এনেছিল সিঙ্গাপুরের সরকার। তাঁদের ক্ষোভ, তাঁরা অন্য ড্রাইভারদের তুলনায় কম মাইনে পাচ্ছেন। ধর্মঘটের হোতা চার চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শাস্তি হল ২০০০ সিঙ্গাপুর ডলার (প্রায় ৯০,০০০ টাকা) জরিমানা, এবং/অথবা এক বছর জেল। সিঙ্গাপুর সম্বন্ধে প্রচলিত কথাটাই হল Singapore is a ‘fine’ country :) |