|
|
|
|
দাবি কেন্দ্রের |
রাজ্যসভায় হারলেও প্রভাব পড়বে না খুচরো সিদ্ধান্তে |
দিগন্ত বন্দ্যোপাধ্যায় • নয়াদিল্লি |
রাজ্যসভায় ভোটাভুটিতে হেরে গেলেও খুচরো ব্যবসায় প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নি (এফডিআই) নিয়ে তাদের সিদ্ধান্তে কোনও প্রভাব পড়বে না বলে দাবি করল সরকার। সংসদে ভোটাভুটির আগে বিরোধীদের যুক্তি কার্যত এ ভাবেই উড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্র।
লোকসভায় সংখ্যা অনুকূলে থাকলেও রাজ্যসভা নিয়ে সরকারের উদ্বেগ এখনও কাটেনি। এফডিআই নিয়ে ভোটাভুটি ছাড়াও বিদেশি মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনের (ফেমা) ধারার সংশোধনেও ভোটাভুটি চাইছে বিরোধীরা। কিন্তু সরকারের বক্তব্য, খুচরো ব্যবসায় বিদেশি লগ্নির সিদ্ধান্ত প্রশাসনিক। আর বিদেশি মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনের ধারার সংশোধনীও এই সিদ্ধান্তেরই পরিপূরক।
এর জন্য নতুন করে আইন সংশোধন হচ্ছে না। প্রশাসনিক স্তরে নেওয়া সিদ্ধান্তেই সংসদের সিলমোহর বসাতে হবে। ফলে দু’টি কক্ষের মধ্যে যদি একটিতেও সরকার এটিকে পাশ করিয়ে নিতে পারে, তা হলে সেই সিদ্ধান্তই বহাল থাকবে। সে ক্ষেত্রে দুই কক্ষেই সংখ্যাধিক্যের জোরে সেটিকে পাশ করানোর প্রয়োজন নেই।
কিন্তু সীতারাম ইয়েচুরি-রবিশঙ্কর প্রসাদদের বক্তব্য, বিদেশি মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনীটিও দুই কক্ষেই পাশ করাতে হবে। আইনে সেই কথাটিই স্পষ্ট বলা আছে।
দু’টির মধ্যে একটি কক্ষেও সংশোধনী আটকে গেলে এফডিআই নিয়ে গোটা সিদ্ধান্তই বাতিল করতে হবে। কিন্তু সরকার যদি শুধু লোকসভায় জয়ের ভিত্তিতে খুচরো ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত বহাল রাখে, তা হলে বিরোধীরা আদালতের দ্বারস্থ হবে। আর আদালতে নিঃসন্দেহে তা বাতিল হবে।
কিন্তু ইউপিএ সরকারের এক শীর্ষ সদস্য আজ জানান, “লোকসভায় পাশের পর কোনও অবস্থায় যদি সেটি রাজ্যসভায় আটকে যায়, তাতে খুব বেশি সরকারের অস্বস্তি বাড়তে পারে। কিন্তু প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত বহাল
রাখার ক্ষেত্রে তার কোনও প্রভাব পড়বে না। এই আইনের ধারা সংশোধনের জন্য একটি কক্ষে তা পাশ করানোই যথেষ্ট।” |
|
|
|
|
|