খুচরো পয়সা ফেরত দেওয়া নিয়ে গোলমাল, আর তার জেরে শনিবার দুপুরে দমদমে এক যাত্রীকে এক অটোচালক ক্ষুর মেরে জখম করেছেন বলে অভিযোগ।
মতিঝিল এলাকার বাসিন্দা, পেশায় সাংবাদিক জয় সাহা নামে ওই যাত্রীর অভিযোগ, অটোচালক দলবল নিয়ে তাঁর উপর চড়াও হয়ে তাঁকে ক্ষুর মেরেছেন। পুলিশের কাছে অটোচালক এবং তাঁর এক সঙ্গীর বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগও জানান। পাল্টা অভিযোগ জানান অটোচালকও। তাঁর বক্তব্য, ওই যাত্রী বিনা কারণে তাঁকে মারেন। চালকের দাবি,
|
অটোচালক বিজু
সাহা।- নিজস্ব চিত্র |
তিনি ক্ষুর চালাননি। পুলিশ জানায়, বিকেলে দু’পক্ষকেই থানা থেকে জামিনে ছাড়া হয়।
রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্র অটোচালকের পক্ষে সাফাই দিয়ে বলেছেন, তিনি ক্ষুর চালাননি। মন্ত্রী জানান, আজ, রবিবার তিনি নিজে ঘটনাস্থলে যাবেন। পুলিশ, স্থানীয় বিধায়ক এবং পুরসভার চেয়ারম্যানকে পৃথক ভাবে ঘটনার তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলেছেন তিনি। মন্ত্রীর দাবি, ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনারও তাঁকে জানিয়েছেন, হাতাহাতি হয়েছে, ক্ষুর চলেনি। ঘটনাচক্রে, দমদম-নাগেরবাজার রুটের অটো ইউনিয়ন এখন তৃণমূল কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণাধীন। ইউনিয়নের সম্পাদক গৌতম সাহা মণ্ডলের দাবি, “শুনলাম, ওই যাত্রী নিজেই ব্লেড দিয়ে নিজের জামা কেটে দেখাচ্ছেন। তবে ঠিক কী হয়েছিল তা পুলিশ তদন্ত করুক।” পরিবহণ মন্ত্রীর বক্তব্য, “দু’দিন আগে যারা সিপিএম ছিল, এখন তারা তৃণমূল। জন্মলগ্ন থেকে যাঁরা তৃণমূল করছেন, তাঁরা যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতে পারেন না। আইনের উপরে কেউই নন। তা তিনি অটোচালকই হোন, আর প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যানই হোন।”
জয় সাহার অভিযোগ, বেলা পৌনে ১২টা নাগাদ তিনি ও আরও তিন যাত্রী দমদম স্টেশনে নামেন। এক মহিলা যাত্রীকে অটোচালক ছ’টাকা খুচরো ফেরত দিচ্ছিলেন না। মহিলার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। জয় প্রতিবাদ করায় বিজু সাহা নামে ওই অটোচালক ও তাঁর সঙ্গী বিশ্বেশ্বর দাস তাঁকে স্টেশন চত্বরের পাশের গলিতে নিয়ে যান। সেখানে তাঁকে মারধর করা হয়। পেটে ক্ষুর মারা হয়। বিজুর অভিযোগ, জয়ের কাছে খুচরো না-থাকায় তাঁকে তিনি জানান, ভাড়া না দিয়ে তিনি যেতে পারেন। তাতে অসম্মানিত বোধ করে জয় তাঁকে বেধড়ক মারেন। |