সত্যজিৎ রায় ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট-এ (এসআরএফটিআই) র্যাগিংয়ের অভিযোগে আট ছাত্রকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাঁদের হস্টেলও ছাড়তে বলা হয়েছে। তবে শনিবার রাত পর্যন্ত পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
ওই ঘটনার তদন্তে এ দিন একটি কমিটি গড়েছেন কর্তৃপক্ষ। এসআরএফটিআই-এর রেজিস্ট্রার দীপঙ্কর মুখোপাধ্যায় জানান, পাঁচ শিক্ষককে নিয়ে গঠিত কমিটি আগামী সপ্তাহেই রিপোর্ট জমা দেবে। গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান দীপংকর দে জানান, “অধিকর্তার সঙ্গে কথা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তকে আমি সমর্থন করি।”
রেজিস্ট্রার জানান, ২৭ নভেম্বর রাতে ফোনে এসআরএফটিআইয়ের এক ছাত্রী তাঁকে জানান, তাঁর সহপাঠী কয়েক জনকে হস্টেলে র্যাগিং করা হচ্ছে। খবর পেয়ে রেজিস্ট্রার তা সহকর্মী ও র্যাগিং-বিরোধী সদস্যদের জানান। ওই প্রতিষ্ঠানে ছেলে এবং মেয়েদের হস্টেল একটিই ভবনে। খাবার ঘর এবং বারান্দাও এক। তবে ছাত্র ও ছাত্রীদের থাকার জায়গা আলাদা। ওই রাতে হস্টেল ঘুরে দেখার পরে শিক্ষকরা রেজিস্ট্রারকে জানান, বারান্দায় প্রথম বর্ষের কয়েক জন পড়ুয়া উঁচু ক্লাসের কয়েক জনের সামনে সারিবদ্ধ হয়ে রয়েছে। এক দল ছাত্র অবশ্য দাবি করেছেন, নতুন-পুরনো মিলিয়ে কয়েক জন পড়ুয়া ওই দিন রাতে বারান্দায় দাঁড়িয়ে নেহাতই চলচ্চিত্র বিষয়ে আলোচনা করছিলেন।
রেজিস্ট্রারের বক্তব্য, ২৯ নভেম্বর র্যাগিং-বিরোধী কমিটির সদস্য, শিক্ষক এবং প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের সঙ্গে তিনি কথা বলেন। ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে কয়েক জন জানান, ওই রাতে তাঁদের সঙ্গে যা করা হয়েছে, তা সহ্য করা যায় না। বাকিরা জানান, ওই ঘটনা নিতান্তই তুচ্ছ। রেজিস্ট্রারের দাবি, দু’পক্ষই তাঁকে জানিয়েছিলেন, মৌখিক কথাবার্তার বেশি কিছু সেখানে হয়নি। তবে শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের একাংশের অভিযোগ, ২৬ নভেম্বর প্রথম বর্ষের কয়েক জন ছাত্রীকে সারা রাত ছাদে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল। চলছিল গালি। ছাত্রীদের মুখে সিগারেটের ধোঁয়াও ছাড়া হয়। ই-মেল, এসএমএস এবং টেলিফোনে র্যাগিংয়ের বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্তদের হস্টেল ছাড়ার নির্দেশ দেন কর্তৃপক্ষ। তাঁদের সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্তও হয়। তবে কর্তৃপক্ষ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিলেও অভিযুক্তরা তা মানছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। |