নিচু তলার কর্মীদের দাবি মেনে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোচবিহারে বেশি আসনে প্রার্থী দিতে তৎপর ফরওয়ার্ড ব্লক। বাড়তি আসনের মধ্যে সিপিএমের দখলে থাকা কিছু আসনও রয়েছে। শুক্রবার দলের সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ওই পরিস্থিতিতে এ বারও পঞ্চায়েত নির্বাচনে সার্বিক বাম ঐক্য গড়ে তোলা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বৈঠক শেষে কোচবিহার জেলা ফরওয়ার্ড ব্লক সম্পাদক উদয়ন গুহ বলেন, “জেলার আশি শতাংশ আসন নিয়ে দলের নিচুতলার কর্মীরা রিপোর্ট দিয়েছেন। সেখানে কিছু বাড়তি আসনের দাবি রয়েছে। বাস্তবতার ভিত্তিতে ত্যাগের মানসিকতা নিয়ে ফ্রন্টের পরের বৈঠকে ওই বিষয় নিয়ে আলোচনা করে ঐক্য গড়ার কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে।” সিপিএমের জেলা সম্পাদকমন্ডলী সদস্য অনন্ত রায় বলেন, “শুধু দাবি জানালে হবে না। বাস্তবতা বোঝাতে হবে। আমাদের দলের তরফেও সম্ভাব্য আসন বাছাই করার কাজ চলছে। ফ্রন্টের বৈঠকে সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত হবে।” ফরওয়ার্ড ব্লক সূত্রে জানা গিয়েছে, জেতা আসন ছাড়াও দ্বিতীয় স্থানে থাকা আসনে ফ্রন্টগত ভাবে শরিক দলের প্রার্থীকে প্রতীক নিয়ে লড়াই করার সুযোগ দেওয়া হয়। ওই নীতি মেনে প্রার্থী দেওয়ার বিষয় নিয়ে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোচবিহারে শরিকি কাজিয়া চরমে ওঠে। জেলা পরিষদের দুটি আসনে সিপিএম এবং ফরওয়ার্ড ব্লক মুখোমুখি লড়াই করে। পঞ্চায়েত সমিতি,পঞ্চায়েত স্তরেও অনৈক্যের জটিলতা বাড়ে। কিন্তু রাজ্যে পালা বদলের পরে পাল্টে যাওয়া প্রেক্ষাপটে ঠিক হয়েছে প্রতিটি দলের তরফে সমীক্ষা করে দেখা হবে কোন দল কোন আসনে লড়তে চায়, কেন লড়তে চায়, জয়ের সম্ভাবনা কোন দলের বেশি ইত্যাদি বিষয়। ৩০ নভেম্বর ওই রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য বুথ কমিটিগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত ফরওয়ার্ড ব্লক জেলা দফতরে ৮০ শতাংশ আসনের সমীক্ষা রিপোর্ট জমা পড়ে। সে রিপোর্ট নিয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীতে আলোচনা হয়। সেখানে প্রাথমিকভাবে নীচু তলার কর্মীদের বাড়তি আসনে প্রার্থী দেওয়ার দাবি মেনে নেওয়া হয়। জেলা সম্পাদকমন্ডলীর এক সদস্য বলেন, “গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা পরিষদের মোট ৯টি আসন আমাদের ছাড়া হয়। এটা মেনে নেওয়া সম্ভব হয়নি। এ বার ওই সমস্যা এড়াতে আগে থেকে বাড়তি আসনের দাবি জানানো হবে।” |