উত্তরবঙ্গের অন্যতম ঐতিহ্যপূর্ণ বোল্লা কালী পুজো ও তিনদিনের মেলা শুক্রবার শুরু হল। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে বোল্লা গ্রামের মন্দিরে বরাবরের মতো এদিন গভীর রাত অবধি প্রায় পাঁচ হাজার মানতের পাঁঠা বলি দিয়ে শুরু হয় সাড়ে সাত হাত উঁচু বোল্লা রক্ষা কালীর পুজো। রবিবার পর্যন্ত চলবে মেলা। মেলা কমিটির পক্ষে অতীন্দ্র সরকার বলেন, “এবারে প্রথম দেড় কেজি ওজনের সোনার মালায় সাজবেন বোল্লা কালী। বিগত কয়েক বছরের জমানো ভক্তদের মানতের সোনার টিপ, দুল ও নথ গলিয়ে এবারে ওই ৪৫ লক্ষ টাকা মূল্যের সোনার মালা বানানো হয়েছে।” |
পুজো ও মেলাকে ঘিরে এদিন সকাল থেকে মানুষের ঢল নেমেছে। বরাবরের মতো দৈনিক দিনরাত মিলে লক্ষাধিক মানুযের সমাবেশ ঘটে বলে এবারেও পুলিশ প্রশাসন থেকে বোল্লা মেলায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। মন্দির চত্বর ও মেলা প্রাঙ্গনে শতাধিক পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মন্দির চত্বরে দুটি সিসিটিভি বসানো হয়েছে। প্রাচীন রীতি ও ঐতিহ্য মেনে পাঁঠা বলির পাশাপাশি ভক্তরা এখানে দেবীকে কয়েকশ কুইন্টাল চিনির খাজা, বাতাসা, কদমা পুজা দেন। পায়রাও উৎসর্গ করেন ভক্তরা। মানতের কয়েক হাজার ছোট কালী মূর্তিও বোল্লা কালীর সঙ্গে রাতে পুজিত হয়। বোল্লা গ্রামে পৌঁছাতে প্রতিবারের মতো এদিন সারা রাত বালুরঘাট এবং গঙ্গারামপুর থেকে বেসরকারি বাস, মিনিবাস ও ট্রেকার চলাচল করেছে। মেলায় পুতুল নাচ, নাগরদোলা, সার্কাস, জাদু-সহ খাবার, খেলনা ও মণিহারির পসরা নিয়ে দূরদূরান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা এসেছেন। মেলার বিশেষ বৈশিষ্ট্য মিষ্টির দোকানগুলিতে তৈরি ১২ ইঞ্চি লম্বা ও ৬ ইঞ্চি লম্বা ল্যাংচা ও চমচম। বিশাল চিনির কদমা ও খাজার টানেও মেলায় ভিড়ে জমে। |