রোগ প্রতিরোধে উদাসীনতা আজ বিশ্ব এড্স দিবস: অভিযানে
সামিল হননি জনপ্রতিনিধিরা
রকারি নির্দেশ থাকলেও এডস প্রতিরোধ অভিযানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা অংশ না নেওয়ায় উদ্বিগ্ন জলপাইগুড়ি জেলা স্বাস্থ্য দফতর। রাজ্য সরকারের এডস নিয়ন্ত্রণ সমিতি এবং স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে পুরসভার কাউন্সিলর এবং পঞ্চায়েত সদস্যদের সামিল করার কথা বলা হয়েছে। এলাকায় কোনও ব্যক্তি এডসে আক্রান্ত হলে তাঁকে মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনা এবং সচেতনতা প্রসারে এলাকার কাউন্সিলর বা পঞ্চায়েত সদস্যদের সামিল হলে বিষয়টিতে ভাল সাড়া পাওয়া যায় বলে সরকারের অভিজ্ঞতা। যদিও বাস্তবে এই উদ্যোগের ফল দেখে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্যকর্তারা। বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রয়াস হলে এডস প্রতিরোধ বিষয়ে কাউন্সিলরদের প্রশিক্ষণ দিতে এক ঘণ্টার কর্মশালায় ডাকা হয়। সরকারি সূত্রের খবর সেই কর্মশালায় পুরসভার ২৫ জন কাউন্সিলরের মধ্যে উপস্থিত হয়েছিলেন মাত্র ৩ জন। তাঁদের মধ্যে কেউ সারাক্ষণ কর্মশালায় উপস্থিত থাকেননি। শুধু সদর পুরসভা নয়, গত ৫ অক্টোবর আলিপুরদুয়ারের কর্মশালায় পুরসভার ২০ জন কাউন্সিলরের কেউই উপস্থিত ছিলেন না বলে জানা গিয়েছে। গত ২৪ সেপ্টেম্বর মালবাজারের কর্মশালায় ১৫ জনের মধ্যে শুধুমাত্র ৪ জন কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন। অনুপস্থিত কাউন্সিলারদের তালিকায় মধ্যে ডান-বাম সব দলের প্রতিনিধিরাই রয়েছেন। জেলার কাউন্সিলরদের এডস নিয়ে এহেন অনীহায় সরকারি অভিযান কীভাবে সফল হবে তা নিয়েই দুশ্চিন্তায় পড়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। বিষয়টি জানানো হয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরেও। রাজ্য দফতর সূত্রের খবর, শুধু জলপাইগুড়ি জেলায় নয় রাজ্যের সব জেলাতেই এই ছবি ধরা পড়েছে। এডস নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করে আসা শিলিগুড়ির বিধায়ক তথা রাজ্য বিভানসভার স্বাস্থ্য কমিটির চেয়ারম্যান রূদ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, “একটি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় অভিযানে যদি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা না সামিল হন তবে তো খুবই উদ্বেগের। বিষয়টি ব্যক্তিগতও বটে। কোনও কাউন্সিলর বা জনপ্রতিনিধি যদি নিজের সামাজিক দায়িত্ব ভুলে যান তবে ব্যাক্তিগত দায়বদ্ধতা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।” এই প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এই দিন বলেন, ‘‘বিষয়টি উধ্বর্র্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এডস প্রতিরোধ অভিযানে জনপ্রতিনিধিদের গুরত্ব অনেক। প্রয়োজনে আবার কর্মশালা হবে।” কী বলছেন জন প্রতিনিধিরা? জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান পিনাকী সেনগুপ্ত বলেন, “আমি এবং চেয়ারম্যান কর্মশালায় গিয়েছিলাম। অনান্য কাউন্সিলাররা কেন গেল না বলতে পারব না। তবে ভবিষ্যতে আগে থেকে জানানো হলে সকলকে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।” পুরসভার বিরোধী দলনেতা প্রমোদ মণ্ডল বলেন, ‘এটা ঠিক যে বেশ কিছু দিন আগে চিঠি দিয়ে কর্মশালার কথা জানানো হয়েছিল। পরে আর যোগাযোগ না করায় সেই চিঠির মনে ছিল না। ভবিষ্যতে হলে নিশ্চই যাব।” আলিপুরদুয়ার পুরসভার চেয়ারম্যান দীপ্ত চট্টোপাধ্যায় এ দিন বলেন, “কর্মশালা নিয়ে হয়ত যোগাযোগের একটা খামতি ছিল। তবে ভবিষ্যতে এমন অনুষ্ঠান হলে, সব কাউন্সিলরেরা যাতে উপস্থিত থাকেন তার ব্যবস্থা করা হবে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.