পাঁচিল দেওয়া আটকালেন জমিহারারা |
ক্ষতিপূরণের সমস্ত সুযোগ-সুবিধা না মিটিয়ে কাওয়াখালি উপনগরী প্রকল্পের জমিতে পাঁচিল দিতে গেলে বাধা দেন জমিহারাদের একাংশ। শুক্রবার শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তরফে পোড়াঝাড় এলাকায় রেল লাইনের ধারে প্রকল্পের জমিতে পাঁচিল দেওয়ার কাজ শুরু করতে যান দায়িত্বে থাকা ঠিকাদাররা। এসজেিডে’র আধিকারিকদের কয়েক জনও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ওই অংশে জমির মালিকদের একাংশের দাবি, তাঁরা এখনও পূনর্বাসন প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা পাননি। তা নিয়ে বহুবার বৈঠক হয়েছে। গত ১৬ জুন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরে মন্ত্রী বৈঠক করে ৩ মাসের মধ্যে সুযোগ সুবিধা দেওয়ার আশ্বাস জানিয়েছিলেন। তার পরেও জমিহারারা অনেকে ক্ষতিপূরণ ঠিক মতো পাননি। তা নিয়ে বৃহস্পতিবার সার্কিট হাউজে এসজেডিএ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক হলেও তাঁরা নিজেদের দাবির বিষয়টি জানান। এর পর এ দিন পাঁচিল দেওয়ার কাজ শুরু করতে গেলে বাধা দেন পোড়াঝাড় ভূমিহারা ওয়েলফেয়ার সোসাইটির লোক জনেরা। জমিহারাদের ওই সংগঠনের সম্পাদক কার্তিক মণ্ডল জানান, প্রকল্পের কাজ হোক তাঁরাও চান। তবে তাঁর আগে জমিহারাদের ক্ষতিপূরণ মিটিয়ে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। অন্যথায় তাঁরা কাজে বাধা দেবেন। এসজেডিএ’র চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, জমিহারাদের দাবির বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে দেখা হচ্ছে। তাদের ক্ষতিপূরণও দেওয়া হচ্ছে। তবে কাজে বাধা দিতে এলে এর পর আইন মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ দিন বাধা পেয়ে অবশ্য ফিরে আসেন কর্মী-আধিকারিকেরা।
|
ছাই হল ৯টি দোকান। আরও চারটি দোকান আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে ময়নাগুড়ির দোমহনি-২ পঞ্চায়েতের বোলবাড়ি বাজারে। দমকলের জলপাইগুড়ি ও মালবাজারের দুটি ইঞ্জিন প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় ওই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। শুক্রবার ক্ষতিগ্রস্তরা ব্লক প্রশাসনের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানান। বিডিও কল্যাণ বড়ুয়া এ দিন বলেন, “বোলবাড়ি বাজারের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের আবেদনপত্র পেয়েছি। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে তাঁদের সাহায্যের চেষ্টা চলছে।” গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন পুরোপুরি ভস্মীভূত দোকানগুলির মধ্যে ৪টি মুদির দোকান রয়েছে। এ ছাড়াও আছে স্টেশনারি দোকান ও চায়ের গুদাম। দোমহনি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দীনবন্ধু রায় জানিয়েছেন, শুধু একটি মুদির দোকানে পাইকারি বিক্রির জন্য ১০ লক্ষ টাকার বেশি সামগ্রী মজুত ছিল। কিছুই রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। ওই দোকানে প্রথম আগুন দেখা যায়। কিন্তু সেখানে কেমন করে আগুন লেগেছে তা স্পষ্ট নয়।”
|
অস্বাভাবিক মৃতদেহ উদ্ধার হল এক ব্যক্তির। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটে শিলিগুড়ির অরবিন্দপল্লিতে। মৃতের নাম বিপ্লব সরকার (৪১)। তাঁর বাড়ি অরবিন্দপল্লিতে। তিনি মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির কংগ্রেস বিধায়ক তথা দার্জিলিং জেলা কংগ্রেস সভাপতি (সমতল) শঙ্কর মালাকারের খুড়তুতো ভাই বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। বাড়ির উঠোনে একটি গাছের নিচে গলায় দড়ি বাঁধা অবস্থায় তাঁর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের সন্দেহ, তিনি ওই গাছের ডালে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। দড়ি ছিঁড়ে যাওয়ায় দেহটি নিচে পড়ে যায়। কিন্তু কি কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন তা এখনও পরিষ্কার নয়। শিলিগুড়ির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার ও জি পাল বলেন, “ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।”
|
কলেজে ভাঙচুর ও চুরির অভিযোগে অভিভাবক সহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দাগাপুরের সুরেন্দ্র ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট কলেজে ছাত্রদের একাংশ ও কিছু বহিরাগত ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। রাতে ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে ৫ জন ছাত্র রয়েছেন। শুক্রবার শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হলে তাঁদের জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন বিচারক। পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতদের নামে কলেজের সম্পত্তি ভাঙচুর এবং ল্যাপটপ সহ কিছু জিনিসপত্র চুরি করার মামলা করা হয়েছে। ধৃতরা অবশ্য নিজেদের নির্দোষ বলে দাবি করেছেন। শিলিগুড়ির অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ সুপার এ রবীন্দ্রনাথ বলেন, “তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এ দিন আদালতের সামনে ধৃতেরা বলেন, “৫ ডিসেম্বর থেকে পরীক্ষা শুরু। অথচ আমাদের গ্রেফতার করা হল। কিভাবে পরীক্ষা দেব বুঝতে পারছি না।” অভিযুক্তদের পক্ষের আইনজীবী সুশান্ত নিয়োগী জানান, আজ, শনিবার ওই মামলার কেস ডায়েরি চেয়ে পাঠিয়েছেন বিচারক।
|
মোটা মাইনের কাজের টোপ দিয়ে ভিন রাজ্যে পাচারের সময় ডুয়ার্সের চা বাগান এলাকার এক কিশোর এবং তিন কিশোরীকে উদ্ধার করল শামুকতলার পুলিশ। পাচারকারী সন্দেহে গ্রেফতার হয়েছে এক মহিলা। শুক্রবার কার্তিক চা বাগান এলাকা থেকে ওই কিশোর কিশোরীরা উদ্ধার হয়। পুলিশ জানায়, পাচারকারী সন্দেহে ধৃত মহিলার নাম রহেল ভুজেল। আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকাশ মেঘারিয়া বলেন, “এক মহিলাকে পাচারকারী সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে জেরা করা হচ্ছে।” পুলিশ জানায়, উদ্ধার করা কিশোর কিশোরীরা প্রত্যেকে ধওলাঝোরা চা বাগান এলাকার ৫ নম্বর লাইনের বাসিন্দা। যে মহিলা তাদের বাইরে পাচারের চেষ্টা করে সে কার্তিকা চা বাগান এলাকায় থাকে। ভিন রাজ্যে কাজের প্রলোভন দিয়ে এ দিন সকালে ছেলেমেয়েদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে হানা দেয়। ধরা পড়ার পরে রহেল ভূজেল পুলিশকে জানায়, কিশোর কিশোরীদের দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিশোর কিশোরীরা পুলিশকে জানায়, ওই মহিলা তাদের বলেছিল, দিল্লিতে গেলে বাড়তি অনেক রোজগার করতে পারবে। সে জন্য তারা বাইরে যেতে রাজি হয়।
|
কিশোরীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে ২ জনকে ধরেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে ভক্তিনগরের দোমাইল এলাকায়। ওই দিন রাতে দোমাইলের একটি অ্যপার্টমেন্টের ওই কিশোরী দাঁড়িয়ে বন্ধুর সঙ্গে কথা বলছিলেন। |