|
|
|
|
 |
কার্ড-কাণ্ডে নিরপেক্ষ তদন্ত
চায় চা শ্রমিক সংগঠনগুলি
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
|
চা বাগানের রেশন ব্যবস্থা নিয়ে এ বার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি তুলল শ্রমিক সংগঠনগুলি। তরাই এবং ডুয়ার্সের চা বাগানের শ্রমিকদের নামে থাকা ভুয়ো রেশন কার্ডে বছরের পর বছর খাদ্যশস্য বরাদ্দ হয়ে গেলেও প্রকৃত শ্রমিকরা বঞ্চিতই থেকে গিয়েছে বলে শ্রমিক সংগঠনগুলির অভিযোগ। চা বাগানের রেশন কাণ্ডের তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির দাবি নিয়ে ডিসেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে কলকাতায় শ্রমমন্ত্রী এবং খাদ্য সরবরাহ মন্ত্রীর দ্বারস্থ হবে চা শ্রমিক সংগঠনগুলির কো-অর্ডিনেশন কমিটির আহ্বায়ক চিত্ত দে। সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রয়োজনে অবসরপ্রাপ্ত কোনও বিচারপতিকে দিয়ে এই তদন্ত করানো যেতে পারে।
শ্রমিক সংগঠনগুলির কো-অর্ডিনেশন কমিটির আহ্বায়ক চিত্তবাবু শুক্রবার বলেন, “ভুয়ো রেশন কার্ড তৈরি করে চাল আটা বাজারে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। আর প্রকৃত শ্রমিকদের ভুখাই থাকতে হচ্ছে। খাদ্য সরবরাহ দফতরের কর্মীদের একাংশ এবং কয়েক জন আধিকারিক এই চক্রে জড়িত। না হলে এমন পরিকল্পিত ভাবে কয়েক বছর ধরে এমন দুর্নীতি চলতে পারে না। চা বাগানের পুরো রেশন ব্যবস্থা নিয়েই নিরপেক্ষ তদন্ত করতে হবে। ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে কলকাতায় গিয়ে মন্ত্রীদের কাছে এ ব্যাপারে দাবি জানাব।”
সম্প্রতি রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নির্দেশে বিভাগীয় তদন্তে জানা গিয়েছে, ডুয়ার্সের বন্ধ চা বাগানে প্রায় ৯১ হাজার শ্রমিক দেখিয়ে প্রতি মাসে রেশন বরাদ্দ করা হচ্ছে। অথচ শ্রম দফতর জানিয়েছে চারটি বন্ধ চা বাগানের শ্রমিক এবং তাদের পরিবারের সদস্য সংখ্যা ১৭ হাজারের বেশি নয়। একই ভাবে তরাইয়ের ২১টি চা বাগানের প্রায় ২ লক্ষ বাসিন্দার নামে প্রতি মাসে রেশন বরাদ্দ হয়। যদিও শ্রম দফতর জানিয়েছে, ডুয়ার্স ও তরাইয়ের চা বাগানগুলিতে বাসিন্দার সংখ্যা ১ লক্ষের কাছাকাছি। চা শ্রমিক সংগঠনগুলির ডিফেন্স কমিটির আহ্বায়ক সমীর রায় বলেন, “জেলা থেকে রাজ্য সদর পর্যন্ত এই চক্র ছড়িয়ে না থাকলে এমন ঘটনা সম্ভব নয়। ইচ্ছেমত ভুয়ো কার্ড তৈরি হয়েছে। শুধু তাই নয়, শ্রমিকদের নামে বরাদ্দ ভাল চাল সরিয়ে তাদের নষ্ট চাল বিলি হয়েছে। শ্রমিকেরা চাল পাচ্ছেন না বলে আমাদের কাছে অভিযোগ করেছেন। অথচ তাদের নামে সরকারি ভাবে রেশন বরাদ্দ হয়েছে। আমরা প্রকৃত তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি চাই।” সিটুর জেলা যুগ্ম সম্পাদক জিয়াউর আলম বলেন, “খাদ্য দফতর যা বলছে তা পরিষ্কার করে বললে সুবিধে হয়। চা বাগানের শ্রমিকদের জন্য যত রেশন কার্ড রয়েছে বলে বলা হচ্ছে তাও প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট নয়। আসল ঘটনা হল চা শ্রমিকদের সরকার প্রয়োজন মত রেশন দিতে পারছেন না। সরকারের সে দিকেই নজর দেওয়া উচিত।” |
|
|
 |
|
|