বধূকে মারধর করে গলায় দড়ির ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগে স্বামী, ভাসুর ও দেওরকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাট থানার সর্দারআটি গ্রামে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম সোনিয়া পারভিন (১৮)। বুধবার শ্বশুরবাড়িতে একটি ঘরের মধ্যে ঝুলন্ত অবস্থায় সোনিয়ার দেহ উদ্ধার করা হয়। দেহটি ময়না তদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বসিরহাট থানার আইসি শুভাশিস বণিক বলেন, “ বৃহস্পতিবার মৃতের জ্যাঠা মামুদ আলি মোল্লা অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার স্বামী আব্দুল আলিম গাজি সহ তার দুই ভাই আব্দুল রসিদ গাজি এবং আব্দুল সামাদ গাজিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ময়না তদন্তের রির্পোট না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ বলা সম্ভব নয়।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সাত মাস আগে হাসনাবাদের মুরারীশা গ্রামের সোনিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় আব্দুল আলিম গাজির। সোনিয়া তখন একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। আব্দুল গৃহশিক্ষকতা করতেন। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, বিয়েতে যৌতুক হিসাবে জামাই এবং তাঁর বাড়ির যাবতীয় চাহিদা পূরণ করা হয়। তা সত্ত্বেও আরও যৌতুকের দাবিতে সোনিয়ার ওপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালানো হচ্ছিল। বিয়ের পর পড়শুনা করার ব্যাপারেও আপত্তি ছিল শ্বশুরবাড়ির। এ নিয়ে দুই পরিবারে একাধিকবার আলোচনা হলেও মীমাংসা হয়নি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, ঘটনার দিন সকালে ঝগড়াঝাটি হয় গাজি পরিবারে। এরপর সোনিয়াকে ঘরের মধ্যে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায়। সোনিয়ার জ্যাঠা মামুদ আলি মোল্লা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করে বলেন, “পরিকল্পনা করে পিটিয়ে মেরে সোনিয়ার গলায় দড়ি দিয়ে টাঙিয়ে দেওয়া হয়।” এর পরেই পুলিশ মৃতের স্বামী-সহ তিনজনকে গ্রেফতার করে। তবে আব্দুল পুলিশকে জানিয়েছেন, স্ত্রীর সাথে তাঁর সম্পর্ক বরাবরই ভাল ছিল। পড়াশোনা নিয়েও ওঁকে উৎসাহ দেওয়া হত। একটু জেদি স্বভাবের মেয়ে হওয়ায় সামান্য ঘটনায় অভিমানে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। |