বসিরহাটে জমি নিয়ে বিবাদের তিনটি পৃথক ঘটনায় দু’পক্ষের মধ্যে মারপিটে জখম হয়েছেন দু’জন। আহতদের মধ্যে তৃণমূসের এক পঞ্চায়েত সদস্যও রয়েছেন। দু’জনকেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তৃণমূল নেতৃত্ব এ ব্যাপারে বিরোধীদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুললেও এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেরই পরিণতি বলে বিরোধীদের অভিমত।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, শুক্রবার সকালে হাড়োয়া পঞ্চায়েতের পিয়ারা গ্রামে দু’পক্ষের মধ্যে জমি নিয়ে বিবাদ বাধলে মধ্যস্থতা করতে ডাকা হয় স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য ও তৃণমূল নেতা আরিফ গাজিকে। অভিযোগ আলোচনা চলার সময় স্থানীয় লক্ষ্মণ দাস লোকজন নিয়ে আরিফ গাজির উপরে হামলা চালায়। গুরুতর জখম আরিফকে প্রথমে হাড়োয়া হাসপাতাল ও পরে কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত লক্ষ্মণ দাস পলাতক বলে পুলিশ জানিয়েছে। হাড়োয়ার তৃণমূল নেতা সঞ্জু বিশ্বাস বলেন, “দু’টি পরিবারের মধ্যে জনি নিয়ে বিবাদ মেটাতে গিয়ে লক্ষ্মণ দাসের ইটের আঘাতে জখন হন আরিফ। এর সঙ্গে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোনও সম্পর্ক নেই।
এ দিনই বিকেলে বাদুড়িয়ার শ্রীরামপুরেও জমির দখল নিয়ে দু’দলের মারামারি বাধে। পুলিশ জানায়, স্থানীয় বাসিন্দা মইনুল হক বৈদ্য এবং কামরুল আলমের মধ্যে জমি নিয়ে বিবাদ ছিল। এ দিন ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতর থেকে সরেজমিন তদন্তে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি বেধে যায়। মহিলাদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মারামারিতে জখম কামরুল আলম ও তাঁর ভাই সইফুদ্দিন বৈদ্যকে রুদ্রপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কামরুলের ছোট ভাই খাইরুল বলেন, “আগে আমরা কংগ্রেস করতাম। এখন তৃণমূল করি। তাই কংগ্রেস এবং সিপিএম জোট বেঁধে আমাদের উপরে হামলা চালাচ্ছে।” যদিও কংগ্রেসকর্মী মইনুলের দাবি, এটা একেবারেই গ্রাম্য বিবাদ। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।
হিঙ্গলগঞ্জের পূর্ব মামুদপুরে জমিতে বেড়া দেওয়াকে কেন্দ্র করে দীপঙ্কর দাস ও পঙ্কজ দাসের মধ্যে মারামারি বাধে। এতে দীপঙ্কর-সহ দু’পক্ষের চারজন জখম হন। দীপঙ্কর-সহ দু’জনকে বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় পঙ্কজ ও অমলা দাস নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। |