যাঁকে নিয়ে অনুষ্ঠান তিনি এলেন আরম্ভের ঠিক দু’ ঘণ্টা পঁয়তাল্লিশ মিনিট পরে, খুব অল্প সময় হাতে নিয়ে। অথচ কলাকুঞ্জ মঞ্চে ‘উতল হাওয়া’র আয়োজনে অনুষ্ঠানটি ছিল সুস্মিতা গোস্বামীকে নিয়েই, তাঁরই সঙ্গীত জীবনের পঁচিশ বছর পূর্তি উপলক্ষে। এমনিতেই অনুষ্ঠান আরম্ভ আধ ঘণ্টা দেরিতে। সুস্মিতার সিডি প্রকাশ, প্রথাগত অতিথি বরণ, ভাষণ। আশা ছিল এবার গাইবেন সুস্মিতা। কিন্তু না। এলেন শাশ্বতী সেনগুপ্ত রবীন্দ্রগীতির সম্ভার নিয়ে। প্রায় সাত-আটটি গান গাইলেন তিনি। শুরু ‘হৃদয়ের একূল ওকূল’ দিয়ে। শেষ করলেন ‘না চাহিলে যারে’ গেয়ে। গাইবার ধরনটি ভাল। ভাল লাগল ‘সেই ভাল, সেই ভাল’ আর ‘না চাহিলে যারে’। বিভিন্ন কবির কবিতা আবৃত্তিতে শম্পা দাস সুন্দর মুখস্থ করেছেন এটুকুই বলা যায়। বাকি সবটাই নিষ্প্রাণ ‘রিডিং’ পড়া।
সব শেষে গাইলেন সুস্মিতা গোস্বামী। তাঁর প্রথম নিবেদন সরস্বতী স্ত্রোত্র । পাঠেই বুঝিয়ে দিলেন তিনি পূর্ণ মেজাজে এবং আধিপত্যে আজ আসরে এসেছেন। কী অনায়াসে শ্রোতাদের অনুরোধের গান নিমেষে ধরে নিচ্ছেন। কথা হয়ে উঠছে সুর, সুরের ঝরনা। ধরলেন ‘চিরদিন কাহারও সমান নাহি যায়।’ একে একে ‘তুমি সুন্দর তাই’, ‘উচাটন মন ঘরে’, ‘চাঁদের মতো’, ‘অরুণকান্তি কে গো’, ‘শাওন রাতে যদি’ পরিবেশন করেন। তখনও অজস্র অনুরোধ। নজরুলের গানের যাবতীয় সম্ভার, ছন্দ, সরগম, উচ্চারণ বৈশিষ্ট্য সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন শিল্পী। |