|
|
|
|
তমলুকে সরকারি জায়গায় স্থায়ী নির্মাণ ঘিরে বিতর্ক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
দলিল লেখক সমিতির উদ্যোগে তমলুক সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের কাছে সরকারি জায়গায় পাকাঘর নির্মাণকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। জেলা প্রশাসনের নির্দেশে কয়েক সপ্তাহ আগে ওই নির্মাণ বন্ধ হয়েছে। যদিও দলিল লেখক সমিতির দাবি, প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে রেজিস্ট্রি অফিসে আসা লোকেদের বিশ্রামের জন্যই সরকারি ওই জায়গায় ঘর তৈরি করা হচ্ছিল। কিন্তু প্রশাসন কোনও কারণ না দেখিয়ে ওই নির্মাণ বন্ধ করে দিয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, তমলুক আদালত চত্বর সংলগ্ন এলাকায় মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের অফিস, পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত জেলা শাসকের বাসভবন ও তমলুকের সাব-রেজিস্ট্রি অফিস রয়েছে। সাব রেজিস্ট্রি অফিসের কাছে সরকারি জায়গায় ভগ্নপ্রায় একটি ভবন ছিল। পশ্চিমবঙ্গ দলিল লেখক সমিতির আবেদনের প্রেক্ষিতে ১৯৯৯ সালে তমলুকের তৎকালীন মহকুমাশাসক সরকারি ওই জায়গায় সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে আসা লোকজনের অপেক্ষা-বিশ্রামের জন্য ছাউনি করার অনুমতি দিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি দলিল লেখক সমিতির তরফে ওই সরকারি জায়গায় পাকা বাড়ি তৈরির কাজ শুরু হয়। এরপরই জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সরকারি ওই জমিতে পাকা নির্মাণ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। |
|
এই নির্মাণ ঘিরেই বিতর্ক। —নিজস্ব চিত্র। |
দলিল লেখক সমিতির রাজ্য কমিটির সদস্য জগন্নাথ প্রামাণিক ও তমলুক ইউনিট সম্পাদক রাসবিহারী দিন্দার দাবি, “১৯৯৯ সালে তমলুকের মহকুমাশাসক সরকারি ওই ৫ ডেসিমেল জায়গায় বাড়ি তৈরির অনুমতি দিয়েছিলেন। প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল। ইতিমধ্যে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা খরচও হয়ে গিয়েছে। নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়ার কারণও আমাদের জানানো হয়নি।” পূর্ব মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) মলয় হালদার অবশ্য বলেন, “সরকারি জায়গায় ওই সমিতিকে পাকা নির্মাণ করার কোনও অনুমতি দেওয়া নেই। তাই ওই নির্মাণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। |
|
|
|
|
|