|
|
|
|
পঞ্চায়েতে বরাদ্দ অতিরিক্ত অর্থ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
গ্রাম পঞ্চায়েতের উন্নয়নের কাজে আরও গতি আনতে এ বার স্বশক্তিকরণ কর্মসূচির অর্থ পেতে চলেছে ৯টি জেলার প্রায় ১ হাজার পঞ্চায়েত। তার মধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুরের কপালে জুটেছে ১২৬টি গ্রাম পঞ্চায়েত বাবদ প্রায় ২০ কোটি টাকা। ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোয় এই নির্দেশিকা পাঠিয়েছেন রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন বিভাগের উপ-সচিব সৌম্য পুরকায়েত।
প্রাথমিক ভাবে রাজ্যের ৯টি জেলার ১ হাজার গ্রাম-পঞ্চায়েতের মধ্যে এ বার যোগ্যতামান অর্জনকারী পঞ্চায়েতের সংখ্যা ৭৮৪। মোট বরাদ্দ ২০১ কোটি টাকা। ২০১৩-’১৪ আর্থিক বছরে কোন গ্রাম-পঞ্চায়েত কত টাকা পাবে, নির্দেশিকায় তা-ও জানানো হয়েছে। এর ফলে সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতের উন্নয়নের কাজে আরও গতি আসবে বলেই মনে করছে জেলা পরিষদগুলো।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা ভট্টাচার্য বলেন, “অর্থের অভাবে অনেক সময় পঞ্চায়েতগুলো কাজ করতে পারে না। তবে পরিকল্পনা তৈরি করাই থাকে। স্বশক্তিকরণ কর্মসূচির অর্থে তা এ বার সম্ভব হবে। এতে গ্রামেরই সার্বিক উন্নয়ন হবে।” প্রশাসন সূত্রে খবর, রাজ্যের ৯টি জেলায় স্বশক্তিকরণ কর্মসূচির কাজ চলছে। কর্মসূচির রূপরেখা অনুযায়ী নির্বাচিত পঞ্চায়েতগুলোকে তাদের সম্মতির ভিত্তিতে অনান্য সহায়তা যেমন, প্রশিক্ষণ কর্মশালার পাশাপাশি অতিরিক্ত আর্থিক সহায়তা করা হয়। তবে পঞ্চায়েতের মানোন্নয়ন ও ক্ষমতা বৃদ্ধি করাই এই অতিরিক্ত সহায়তার প্রধান লক্ষ্য। এ জন্য প্রতি বছরই পঞ্চায়েতগুলোর কাজের মূল্যায়ন করা হয়। যোগ্যতামান অর্জনে পঞ্চায়েতগুলোকে মূল্যায়নে ১০০ নম্বরের মধ্যে অন্তত ৬০ পেতে হয়, আগে পাওয়া টাকার অন্তত ৬০ শতাংশের সদ্ব্যবহার করতে হয়। এছাড়া পঞ্চায়েতগুলোর পরিকল্পনা বাজেট তৈরি হয়েছে কি না, মূল্যায়নে তা-ও দেখা হয়। বরাদ্দ অর্থে রাস্তা সংস্কার, নিকাশি ব্যবস্থার উন্নতি, নলকূপ মেরামত প্রভৃতি কাজ করা যেতে পারে। বাঁকুড়া, বীরভূম, বর্ধমান, কোচবিহার, দক্ষিণ দিনাজপুর, হাওড়া, নদিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এই ৯টি জেলায় স্বশক্তিকরণ কর্মসূচির কাজ চলছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, চলতি বছরের জুন থেকে সেপ্টেম্বর এই চার মাসের কাজের অগ্রগতি বিচার করে পঞ্চায়েতগুলিকে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। এই মূল্যায়নের ভিত্তিতেই নির্বাচিত ১ হাজার গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৭৮৪টি পঞ্চায়েত যোগ্যতামান অর্জন করতে পেরেছে। কিন্তু পশ্চিম মেদিনীপুরের ১৭২টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১২৬টি যোগ্যতামান পেরোলেও বাকি ৪৬টি পঞ্চায়েত তা পারেনি কেন? জেলা পরিষদের এক আধিকারিক বলেন, “যে সব শর্ত থাকে তার মধ্যে কোনও একটি শর্তপূরণ করতে না পারলেই যোগ্যতামান অর্জন করা যায় না। পরিস্থিতির চাপে কিছু গ্রাম পঞ্চায়েত সব শর্তপূরণ করতে পারেনি।” জেলা পরিষদের সভাধপিতি বলেন, “বেশ কয়েকটি পঞ্চায়েতে কিছু সমস্যা রয়েছে। ফলে, সময়ে কাজ শেষ হয় না। সেই সব সমস্যা মেটানোর জন্যও পদক্ষেপ করা হচ্ছে।” |
|
|
|
|
|